জীবনের প্রথম বিসিএসেই প্রশাসন ক্যাডার হলেন রিমন আহমেদ।
16/11/2022
1066 Views
আত্মবিশ্বাসই হচ্ছে সফলতার প্রথম সোপান’।এই মন্ত্রেই দীক্ষিত হয়ে বিসিএসে সফল হয়েছেন এইচ. এম. ইবনে মিজান (রিমন)। জীবনের প্রথম ৩৬তম বিসিএসেই প্রশাসনে ৪৩তম হয়ে সুপারিশ*প্রাপ্ত হয়েছেন। রিমন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার কিন্তু ওয়েটিং পর্যন্ত গিয়ে বাদ পড়ে কান্না করেন অনেক।
কিন্তু ভেঙ্গে পড়েননি। চোখের জলকে রুপান্তর করেন শক্তিতে।নতুন করে স্বপ্ন দেখে ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দুই বছর কাটান আনন্দ ফুর্তি আর বন্ধুদের সাথে আড্ডায়। এরপর তৃতীয় বর্ষে উঠেই মনোযোগী হন ক্যারিয়ারের প্রতি।টুকিটাকি তথ্য জানতে থাকেন বিসিএস নিয়ে। বিসিএসের প্রস্ততিতে প্রথমেই GRE এর ৫০০০ ইংরেজী শব্দার্থ মুখস্ত করে ফেলেন। সপ্তম থেকে নবম পর্যন্ত গণিত বই বুঝেবুঝে শেষ করেন। এরপর অন্যান্য বিষয়গুলো ধারাবাহিক-ভাবে পড়তে থাকেন। প্রস্ততি নিয়ে রিমন বলেন, গুছিয়ে পড়াশোনা করতাম।
লাইব্রেরীতে যেতাম নিয়মিত। দিনশেষে হিসাব করতাম কতটুকু পড়েছি। কি কি পড়তে পারিনি।
এভাবে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন।প্রস্ততি শুরু করেন লিখিত এর জন্য। মাঝে একমাস লিখিত এর সব বই উঠিয়ে রেখে দেন মাস্টার্স এর পরীক্ষার জন্য।পরীক্ষা শেষ করেই পূর্ণদ্যেমে লেগে পড়েন বিসিএস নিয়ে।অলসতা না করে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করতেন।নিয়মিত মডেল টেস্ট দিতেন নিজের প্রস্ততি যাচাই করার জন্য।এভাবে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর লিখিততে উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভার জন্য পড়াশোনা করেন কিছুদিন।চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হলে প্রশাসনে ৪৩তম হয়ে সুপারিশ*প্রাপ্ত হন।
রিমনের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানার বাউশা গ্রামে। মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে জিপিএ ফাইভ পেয়ে SSC পাশ করেন। এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ২০০৯ সালে করেন HSC পাশ। এবার পান জিপিএ ৪.৮০। অল্পের জন্য A+ মিস হয়ে যায়। যার জন্য মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায়ও ওয়েটিং এ থেকে বাদ পড়েন। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রানিবিদ্যা বিভাগ থেকে অনার্সে CGPA ৩.৩২ ও মাস্টর্স এ ৩.৩৭ নিয়ে পাশ করেন। রিমনের এখন ইচ্ছা উন্নয়ন প্রশাসন নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া্। এরপর নিজেকে একজন দক্ষ প্রশাসক হিসেবে গড়ে তেুলে দেশ ও জনগনের সেবা করা।
রিমনের বাবা হোসেন আহমেদ অবসর-প্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষক। মা নুরেজা আক্তার একজন গৃহিণী। পাঁচ বোনের রিমন সবার ছোট এক ভাই রিমন।তাই তার প্রতি তার মায়ের ও পরিবারের স্বপ্ন ছিল অনেক। সে স্বপ্ন আজ বাস্তব হল। BCS ক্যাডার হয়ে গ্রাম ও থানার মুখ উজ্জ্বল করেছেন।
Collected from worthytalk