একজন সাংবাদিক মূলত সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, রেডিও, টেলিভিশন ও ওয়েব পোর্টালের জন্য খবর জোগাড় করা, সংবাদ ও কলাম লেখা, সম্পাদনা, পরিমার্জন, পরিবেশন ও ছবি সংগ্রহের কাজ করেন। আমাদের দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে সাংবাদিকদের কাজের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। সাংবাদিকতার ক্ষেত্র বেশ বড় হওয়ায় অনেকেই নির্দিষ্ট বিভাগে মনোযোগ দেন। যেমন- ক্রীড়া সাংবাদিকরা শুধু খেলাধুলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করেন। আরো কাজ করতে পারেন সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, রেডিও, টেলিভিশন, সরকারি বার্তা বাতায়ন বিভাগ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, প্রকাশনা সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান-
প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া: বর্তমানে আমাদের দেশে বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে প্রায় ৩২টি দৈনিক খবরের কাগজ ও ৪টি স্বীকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে। এগুলোতে সাংবাদিকতা করার বড় সুযোগ রয়েছে। নিউজ
এজেন্সির মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ও বেসরকারিভাবে পরিচালিত বিভিন্ন নিউজ এজেন্সিতে সম্পাদক, উপ-সম্পাদক, রিপোর্টার বা কলাম লেখকের কাজ পেতে পারেন।
অন্য মিডিয়া : সরকারি ও বেসরকারি বহু কার্যালয়ে গণযোগাযোগ কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা মুদ্রণ, পরিস্ফুটন, বিপণন ও যোগাযোগের কাজ করে থাকেন। এ ছাড়াও বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও চলচ্চিত্র বিভাগেও সাংবাদিকদের কাজের সুযোগ আছে। অনেকে নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ না করে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন।
সাংবাদিকের কাজের ধরন : প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী একজন সাংবাদিকের কাজের ধরন আলাদা হয়। তবে যে কোনো মাধ্যমে সাধারণ কিছু কাজ রয়েছে। যেমন, সংবাদ সংগ্রহ করা, সংবাদের সত্যতা যাচাই করা, সংবাদ সম্পাদনা করা, প্রয়োজনে মানুষের সাক্ষাৎকার নেয়া, বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করা, কলাম লেখা ও বাছাই করা, তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করা, প্রয়োজনীয় ছবি সংগ্রহ করা। যেহেতু সাধারণ মানুষের জীবনে গণমাধ্যমের সরাসরি প্রভাব রয়েছে, সেহেতু বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা একজন সাংবাদিকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এ ছাড়াও সংবেদনশীল খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে তথ্যদাতার গোপনীয়তা রক্ষা করা বাঞ্ছনীয়।
সাংবাদিকতার যোগ্যতা : প্রত্যেক সাংবাদিককে প্রাতিষ্ঠানিক সাংবাদিকতা বা গণযোগাযোগ বিষয়ে পড়তে হবে এমন কোন কথা নেই। বাংলা, ইংরেজি সাহিত্য, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও অন্য বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরাও এই পেশায় নিয়োজিত আছেন। তবে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে আগে থেকেই যারা নির্বাচন করে রাখেন, তাদের জন্য সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে পড়াই ভালো।
টিভি ও রেডিও : বাংলাদেশে অনেকগুলো টিভি চ্যানেল রয়েছে। সেখানে আলোকচিত্রী, প্রতিবেদক, উপস্থাপক, সম্পাদক, প্রযোজক, বার্তাকক্ষ নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজের সুযোগ আছে। বাংলাদেশ বেতার ছাড়াও বর্তমানে বেসরকারি অনেকগুলো এফএম আছে। এগুলোতে মূলধারার সাংবাদিকতার পাশাপাশি সংবাদ পাঠক, উপস্থাপক, সম্পাদক, প্রতিবেদকসহ বহু পদে ইতোমধ্যে অনেকেই কাজ করছেন।
বয়স ও অভিজ্ঞতা : প্রতিষ্ঠান সাপেক্ষে বয়সের সীমা নির্ধারিত হয়। কাজ সাপেক্ষে অভিজ্ঞতা দরকার হয়।
ভাষাগত দক্ষতা : বাংলা ও ইংরেজি, দুই ভাষাতে ভালো দখল থাকা জরুরি।
অনুসন্ধানী মনোভাব : কোন কিছুর ব্যাপারে অনুসন্ধান করে তথ্য সংগ্রহের মানসিকতা থাকতে হবে।
যোগাযোগের দক্ষতা : বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের অভ্যাস থাকা প্রয়োজন।
উপস্থাপনার জ্ঞান : পাঠক বা দর্শক-শ্রোতার কাছে খবর উপস্থাপন করার ব্যাপারে জ্ঞান থাকতে হবে।
লেখালেখির দক্ষতা : বিভিন্ন ধরনের লেখালেখিতে অভ্যস্ত থাকা জরুরি এ পেশায়।
বিশ্লেষণী ক্ষমতা : কিছু ক্ষেত্রে শুধু তথ্য-উপাত্তের উপর নির্ভর না করে লেখায় বা সংবাদে যৌক্তিক চিন্তার প্রকাশ ঘটানো প্রয়োজন। কারিগরি কিছু জ্ঞান থাকলে আপনি অন্য অনেকের চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারবেন। ফটোশপ বা ইলাস্ট্রেটরের প্রাথমিক ব্যবহার শিখে রাখলে তা কাজে দেবে। এর বাইরে ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন ও অন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে যুক্ত থাকলে আপনার কাজ অনেক সহজ হয়ে আসবে। আগে থেকে নিজের পছন্দের বিষয়ে ঠিকভাবে জানা উচিত। যেমন, ক্রীড়া সাংবাদিক হতে চাইলে খেলাধুলা বিষয়ক বই, ম্যাগাজিন ও ওয়েবসাইট থেকে আপডেট নেবার অভ্যাস থাকা কাজে দেবে। সাংবাদিক হিসেবে কপিরাইট বিষয়ক আইনের জ্ঞান থাকা আপনার জন্য জরুরি। সর্বশেষ যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো সৃজনশীলতা। তাই নিজেকে প্রতিনিয়ত সৃষ্টিশীল করে তোলার চেষ্টা থাকা চাই। সুযোগ পেলে কোন সংবাদপত্রে ইন্টার্নশিপ করতে পারলে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। কাজের অভিজ্ঞতা থাকার কারণে প্রাধান্য পেতে পারেন চাকরিদাতাদের কাছে।
কোথায় পড়বেন সাংবাদিকতা : বাংলাদেশের প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়টি পড়ানো হয়। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, মূলধারার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে প্রেস ইন্সটিটিউট অফ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউটসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মেয়াদে সাংবাদিকতার উপর ডিপ্লোমা কোর্স প্রদান করা হয়।
সাংবাদিকের ক্যারিয়ার : সাংবাদিকের ক্যারিয়ার কেমন হবে তা প্রতিষ্ঠান আর কাজের ওপর নির্ভর করে। সংবাদপত্র বা ম্যাগাজিনের ক্ষেত্রে সাধারণত সংবাদদাতা হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু হয়। কাজের উপর ভিত্তি করে পদন্নতি বাড়ে। এরপর কোন নির্দিষ্ট বিভাগে উপ-সম্পাদনার কাজ পেতে পারেন। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে একজন সাংবাদিক পুরো পত্রিকার মূল সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। টেলিভিশন চ্যানেল এবং রেডিওয়ের ক্ষেত্রে প্রতিবেদক কিংবা সংবাদ পাঠক/উপস্থাপক হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। পরবর্তীতে সম্পাদক, প্রযোজক, বার্তাকক্ষ নিয়ন্ত্রকসহ অন্য পদে উন্নীত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। - চাকরির খোঁজখবর ডেস্ক
সাংবাদিকতা মানেই চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার বিস্তৃতিকালের একজন অন্যতম সৈনিক জামাল উদ্দীন। নব্বইয়ের দশকের শুরু দিক থেকেই সাংবাদিকতা শুরু করেন। বর্তমানে দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিনিধি ও অর্থনৈতিক সম্পাদক হিসেবে কর্মরত রয়েছে। দৈনিক ইত্তেফাক ছাড়াও প্রথম শ্রেণির বেশ কয়েকটি পত্রিকায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। সাংবাদিকতার জন্য এফবিসিসিআই ও অর্থমন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে দুইবার ডিআরইউ সেরা রিপোর্ট বিজয়ী হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের আমন্ত্রণে ভিজিটর্স লিডারশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন। সাংবাদিকতার বাইরে সাংবাদিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও রেখেছেন জামাল উদ্দীন। লিখেছেন নাজমুল হক ইমন
দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্য ও অর্থনীতি নিয়ে কাজ করছেন জামাল উদ্দীন। ক্যারিয়ারের শুরু অর্থনীতি বিট থেকেই। তিনি জানান, কঠিন আর রসকসহীন হলেও আমার কাছে বিষয়টি ইন্টারেস্টিং লাগে, মজা পাই। এটি অন্য রিপোর্টিং থেকে আলাদা। মনগড়া কিছু লেখা যায় না। গবেষণার কাজটিও করতে হয় কখনো কখনো। এখানে কাজ করতে গিয়ে আনন্দ যেমন আছে, তেমনি চ্যালেঞ্জও রয়েছে। যদিও প্রত্যেককেই তো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হয়।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বর্তমানে পেশাদার সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন। এই সংগঠনে নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়ে তিনি জানান, পেশা দায়িত্বের জায়গা থেকে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণসহ নানামুখি কর্মসূচি নিয়ে থাকি। এবারে সংগঠনটিকে কল্যাণধর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি। বর্তমানে সংগঠনটির একটি কাঠামো দাঁড়িয়ে গেছে বলেন। যারা সংগঠনের আঙিনায় সময় দেন, তাদের পরিবারের জন্যও কিছু করণীয় রয়েছে। সে চিন্তা থেকে পরিবারের সদস্যদের নানা আয়োজনে সম্পৃক্ত করছি।
তিনি জানান, গান, নাচ, আর্টের স্কুল রয়েছে। যেখানে সদস্য সন্তানেরা শিক্ষার্থী হিসেবে থাকছে। সর্বশেষ সদস্যদের স্ত্রী সন্তানদের জন্য নতুন সংযোজন করেছি সাঁতার প্রশিক্ষণ ও পারিবারিক ক্রীড়া উৎসব। এতে বিপুল সাড়া পেয়েছি। সদস্যদের সন্তানদের জন্য রয়েছে শিক্ষাবৃত্তি। যেসব সদস্য মারা গেছেন তাদের সন্তানদেরও শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়। কল্যাণকর সংগঠন হিসাবে সদস্যরা মারা গেলে তিন লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। ২০১১ সালে ডিআরইউ সদস্যদের যারা লেখালেখি করেন, তাদের জন্য লেখক সম্মাননা চালু করার পর পরবর্তী বছরগুলোতে তা অব্যাহত ছিল। ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার নামে সম্মাননা চালু করা হয়। এই পুরস্কারের মূল্যমান হবে ৫০ হাজার টাকা।
জামাল উদ্দীন বলেন, ‘যারা সাংবাদিকতা করেন তাদের যেমন চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তেমনি তাদের জানার সুযোগও বেশি। সমাজের পরিবর্তনগুলো একজন সাংবাদিকের চোখেই আগে ধরা পড়ে। এই পরিবর্তনকে নিজের মত করে পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করেন, সেটিই সাহিত্যকর্ম হয়।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃত্বে এসে নিজের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘চিত্তের খোরাক যোগাতে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চালু করেছি মাসিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। দারুণ উপভোগ্য এই সন্ধ্যায় সত্যিই সদস্যরা বিনোদনের খোরাক পান। ভাল কাজ ও চিন্তা, রুচিশীল বিনোদনের মধ্য দিয়ে একজন সাংবাদিককে মননশীল মানুষ হিসাবে তৈরি করবে। আর এই মানুষটি সমাজকে সর্বোত্তম সেবা দিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
খেলাধুলার দিকেও আমাদের নজর রয়েছে। এবারে প্রথমবারের মতো হ্যান্ডবল টুর্নামেন্ট করেছি। সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইনের সাংবাদিকরা এতে অংশ নেন। এর বাইরে পিকনিক, পহেলা বৈশাখ, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজনসহ নিয়মিত প্রোগ্রামগুলোতে রয়েছেই।’
ডিআরইউকে ডিজিটালে রুপান্তর সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গ্রীণ ডিআরইউ কনসেপ্ট নিয়ে এগুচ্ছি। এরই আওতায় আমরা এখন সদস্যদের ইমেইলের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করছি। আমাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রতিমাসে সদস্যরা ইমেইলে পেয়ে যাচ্ছেন। সদস্যদের ডাটাবেসও রয়েছে। এ ছাড়াও অনলাইনে সদস্যদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের একটি মাধ্যম সৃষ্টি নিয়ে আমরা ভাবছি। যেখানে নিজেদের রিপোর্ট, ভাবনা, ব্যক্তিগত বিষয়গুলো শেয়ার করতে পারবে। মাসিক প্রকাশনা রিপোর্টার্স ভয়েস বের হচ্ছে। সেখানে সদস্যদের লেখা ও ক্ল্যাসিফাইড তথ্যাদি থাকছে।
কাজের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল ডিআরইউর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে দৃঢ় পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। সাংবাদিকতা পেশায় নতুনদের জন্য তিনি বলেন, ‘শুরুতেই বলেছি সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জের পেশা। যারা নতুন আসবে তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ইচ্ছা নিয়েই আসতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। পাশাপাশি পড়াশোনা, নিয়মিত পত্রিকা পড়া, দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে চোখ বোলানো, কোথায় কি হচ্ছে সবখরবই রাখতে হবে। যথেষ্ট ধৈর্য্যও প্রয়োজন এই পেশায়। আর নতুনদের জন্য এই পেশা সবসময়ই উন্মুক্ত। তবে নিজেকে পুরোপুরি উৎসর্গ করার মানসিকতা নিয়েই এ পেশায় আসতে হবে।’ সাংবাদিকতার পাশাপাশি করছেন লেখালেখির চর্চাও। গল্পকার হিসেবে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মহলে তিনি সুনাম কুড়িয়েছেন। লেখালেখিতে তার আত্মনিয়োগ ছোটবেলা থেকেই।
লিটল ম্যাগাজিন আর দৈনিক পত্রিকার সাময়িকী পাতায় প্রকাশ নব্বইয়ের দশকের শুরুতেই। সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতি স্করুপ জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম কর্তৃক সদস্য লেখক সম্মাননা পেয়েছেন। যুক্ত ছিলেন লিটল ম্যাগাজিন ‘মাত্রা’ সম্পাদনার সঙ্গে। দেশে জাতীয় পর্যায়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধেও গল্প উৎসবের আহ্বায়ক ছিলেন। মঞ্চে গল্প উপস্থাপনার নতুন মাধ্যম স্টোরি থিয়েটারসহ গল্পেও নানা ফর্ম নিয়েও কাজ করেছেন। তার প্রকাশিত গল্পগ্রন্থগুলো ফাগুন কিংবা মেঘ সন্ধ্যা, আজ রাতে পার্টি হবে না ও চুন মুখো চাঁদ রাতে।