ক্যারিয়ার গোছানো নাবিকের হাল ধরে থাকার মতো। সব সময় নজর রাখতে হয়। একটু বেখেয়াল হলেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনা এড়াতে আপনার জন্য রইল ১০ পরামর্শ।
এক.
প্রতিনিয়তই খেয়াল রাখতে হবে, শ্রেষ্ঠতর জায়গায় পৌঁছার জন্য আপনার সময়োপযোগী কর্তব্য কী। অধিকতর যোগ্যতার লোকেরা সারা পৃথিবীতে তুলনামূলক অযোগ্য ব্যক্তিদের স্থানচ্যুত করেছেন। এটা এক রকম প্রাকৃতিক নিয়মের মতোই।
দুই.
নিয়ন্ত্রণহীন ক্যারিয়ার প্রভাবকের ওপর নজর রাখুন। আপনার ক্যারিয়ার ঠিক করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় আছে, যেখানে আপনার কিছু করার নেই। এই বাহ্যিক বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায় না; শুধু নজর রাখতে হয়। যেমন- চাকরির বাজার, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, আপনার প্রতিষ্ঠানের রীতিনীতি- যা আপনার ক্যারিয়ারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
তিন.
মনোযোগ হারাবেন না। আপনাকে সময় দিতে হবে, সচেষ্ট হতে হবে ও পুরো শক্তি এক করে আপনার জীবনের যত অর্জন, সফলতা, অভিজ্ঞতা আর প্রভাবিত করার ক্ষমতা আছে তা আপনার ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠার কাজে কেন্দ্রীভূত করতে হবে।
চার.
যখন যুদ্ধটি আপনার ক্যারিয়ারবিষয়ক, তখন একে মহাযুদ্ধ না বলে উপায় নেই। আপনার ক্যারিয়ার বিষয়ে সবচেয়ে ভালো ও সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্তটি কেবল আপনিই নিতে পারেন। বিষয়টি উপলব্ধি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পাঁচ.
পরিকল্পনাহীন কোনো পদক্ষেপ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। ঘন ঘন চাকরি বদল বিভাগ পরিবর্তন ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতিকর। পরিকল্পনাহীন যোগদান আর পরিকল্পনাহীন পদত্যাগ ক্যারিয়ার ধ্বংসের অন্যতম কারণ।
ছয়.
আপনার ক্যারিয়ারসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করুন। যেখানেই সুযোগ পাবেন, ক্যারিয়ারসংক্রান্ত নতুন নতুন খবর জানার চেষ্টা করবেন। এই আগ্রহ আপনার ক্যারিয়ারকে আরো বেগবান ও যুগোপযোগী করে তুলতে ভূমিকা রাখবে।
সাত.
আপনার ক্যারিয়ার সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য মানুষগুলোর সঙ্গে পরিচিত হোন, সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। অভিজ্ঞদের সাহচর্যও আপনাকে বিকশিত করতে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
আট.
চারপাশে চোখ রাখুন। বিশেষ করে ক্যারিয়ার বাজারের পরিবর্তনগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। দেখুন ট্রেন্ড কোনদিকে যাচ্ছে। আগাম বোঝার চেষ্টা করুন, কী পরিবর্তন আসতে চলেছে। যাঁরা দূরদ্রষ্টা, তাঁরা ক্যারিয়ার সাফল্যের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হতে চলেছেন।
নয়.
নিজের সঙ্গে চাই নিজের কথোপকথন। ক্যারিয়ারসংক্রান্ত আপনার ঘটনাবহুল দিনগুলোর কথা সময় করে লিখুন। এই লেখাও নিজের সঙ্গে এক ধরনের আত্মবিশ্নেষণ। দিন-তারিখ উল্লেখ করে লিখুন। নিজের ক্যারিয়ারের প্রতি নিমগ্নতা নিজেই উপলব্ধি করুন।
দশ.
নিবিষ্টতা ক্যারিয়ার সাফল্যের আরেক বড় কারণ। ধৈর্য ধরে, বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। পথে নানা ক্যারিয়ার-রাজনীতির ফাঁদও পাতা থাকতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে সেদিকেও।
Collected from kalerkantho