• Digital Marketing and SEO Services in Piracicaba
  • Boost Your Business with SEO and Web Development
  • Effective Online Marketing Strategies to Grow Your Brand
  • Top SEO Services to Enhance Your Website Ranking
  • Grow Your Business with Tailored Digital Marketing Campaigns
  • Responsive Web Design and Development for Better User Experience
  • Maximize ROI with Effective PPC and SEO Campaigns
  • Increase Your Sales with Expert E-commerce SEO Strategies
  • Build a Strong Brand Presence with Effective Marketing
  • Drive Traffic with High-Quality SEO Content Marketing
  • Engage and Grow Your Audience with Social Media Marketing
  • Get Custom Web Solutions that Fit Your Business Needs
  • Enhance Your Local Presence with Local SEO Services
  • Manage Your Online Reputation with SEO Strategies
  • Get an In-Depth SEO Audit to Improve Your Website Performance
  • News Details
    Facebook Youtube Twitter LinkedIn
    ...
    মেডিকেলে ভর্তির নতুন প্রক্রিয়ায় বঞ্চিত মেধাবীরা

    দেশের বেসরকারি মেডিকেল ভর্তি প্রক্রিয়ায় হযবরল সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
    প্রথমবারের মতো অটোমেশন চালু করায় মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা পছন্দমত মেডিকেল কলেজে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
    পূর্বের ভর্তির নিয়ম অনুযায়ী সারাদেশে একসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। এ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির পর প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ ছিলো। এতে শিক্ষার্থীরা পছন্দমত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারতো। চলতি বছর বেসরকারি মেডিকাল কলেজে ভর্তির ব্যাপারে বিস্ময়কর পরিবর্তন আনা হয়। সংশ্লিষ্টদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যে প্রথমবারের মত অটোমেশন চালু করা হয়। এতে প্রথমে শিক্ষার্থীদের ৫টি মেডিকাল কলেজে ভর্তির চয়েস রাখা হয়। পরবর্তীতে এই নীতি পরিবর্তন করে ছেলেদের জন্য ৬০টি মেডিকেল কলেজ ও মেয়েদের জন্য ৬৬টি চয়েস রাখা হয়।
    চয়েসের এ ধরনের নিয়ম শুধু বাংলাদেশে জন্য নয়, সারাবিশ্বে নজিরবিহিন। দেশের উচ্চ মাধ্যমিকে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ৫টি প্রতিষ্ঠানের চয়েস দেয়া যায়। কিন্তু স্বাস্থ্য-অধিদপ্তর দেশ-বিদেশের সব নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ৬৬টি মেডিকেল কলেজের অপশন দেয়। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) এ ব্যাপারে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে। তাদের বিরোধিতাদের সত্ত্বেও স্বাস্থ্য-অধিদপ্তর গত ১৩ জুন মঙ্গলবার কলেজ ঠিক করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠায়। এ ক্ষুদে বার্তা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাদের দেয়া পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাননি অনেকে। অবস্থা দেখে মনে হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইচ্ছা মত কলেজ নির্বাচন করে শিক্ষার্থীদের ক্ষুদে বার্তা দিয়েছে। তাদের চয়েস কোনো মূল্য দেয়া হয়নি। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হলো যে, কোন নীতিতে বা পদ্ধতি অনুসরণ করে কলেজ নির্বাচন করা হয়েছে তা অবহিত করা হয়নি। এমনকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীদের ভর্তির তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যা নিয়ে দেশের মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিবাকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক, মেডিকেল কলেজের সঙ্গে সংশিষ্ট সকলে অটোমেশন পদ্ধতি বাতিল করে পূর্বের পদ্ধিততে ফিরে যাওযার দাবি করেন।
    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক নির্বাচনকৃত ভর্তিচ্ছু তালিকায় দেখা গেছে, রাজধানী ঢাকায় বেড়ে ওঠা শিক্ষার্থীরা ঢাকার বাইরে গ্রামে-গঞ্জের কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। আবার ঢাকার বাইরের অনেককেই রাজধানীসহ বড় বড় শহরে সুযোগ দেয়া হয়েছে। যা তাদের জন্য ব্যয় বহন করা কষ্টের। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্টরা অভিমত প্রকাশ করেন যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই নীতি মেডিকেল শিক্ষা ধ্বংসের নামান্তর। নির্বাচনের বছরে এসে মেডিকেলে ভর্তিতে এধরনের সিন্ধান্ত আত্মঘাতী হওয়ার সামিল।
    শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বলছেন, অটোমেশন পদ্ধতি একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। অটোমেশন নয়, প্রচলিত নীতিমালাই শিক্ষার্থীবান্ধব। যারা ঢাকার বাইরে থাকেন, তাদের যদি অটোমেশনে ঢাকায় ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে থাকা-খাওয়ার বাড়তি খরচ জোগাড় করতে হয় অভিভাবকদের। অন্যদিকে যিনি ঢাকা থেকে বাইরে যাবেন, তাকেও একই হয়রানির শিকার হতে হবে। তাই প্রচলিত পদ্ধতিতে ভর্তি হলে হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন উভয়ই।
    ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা জানান, এই পদ্ধতি বহাল থাকলে পছন্দের মেডিকেল কলেজ ও শহরে ভর্তির সুযোগ না পেলে অনেকে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি না-ও হতে পারেন। এতে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়তে পারেন। একইসঙ্গে তাদের স্বপ্ন পূরণ হবে না। এ অবস্থায় দেশের চিকিৎসক সংখ্যা বৃদ্ধির বদলে কমার শঙ্কাও রয়েছে।
    নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জাতীয় অধ্যাপক বলেন, ১ ঘণ্টার পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থীর মেধা যাছাইয়ে যথেষ্ট নয়। তাই এক্ষেত্রে ভেবে-চিন্তে সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর আধুনিক বিশ্বের কোথাও বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম সরকার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় না।
    খাত সংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের তিনজনের একটি সিন্ডিকেট মেডিকেল ভর্তি প্রক্রিয়ায় এ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার কাজে লিপ্ত। তাদের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্নও রয়েছে। এছাড়া তারা দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তারা।
    এছাড়া, সরকারের শেষ সময়ে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে দেশে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীরা নেতিবাচকভাবে নেবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাতে পরবর্তীতে দেশে বিদেশি শিক্ষার্থী আসার হার কমতে পারে। বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী এমবিবিএস কোর্সে পড়াশোনা করছেন। এতে প্রতি বছর ২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পায় সরকার।
    তারা বলছেন, মেডিকেলে ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারের ঘোষিত একটি নীতিমালা রয়েছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি কমিটি রয়েছে। ওই কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ডিন ও সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ থাকেন। এমন একটি গঠিত শক্তিশালী ভর্তি কমিটি থাকতে সেখানে হঠাৎ করে অটোমেশন পদ্ধতি চালুর প্রয়োজন নেই। কারণ, এই কমিটি তো স্বাস্থ্য অধিদফতরের গঠিত। কেউ অনিয়ম করলে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে। অতীতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
    মেডিকেল শিক্ষা খাত সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ, এই সংকট থেকে রক্ষা পেতে সকল স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে। একক কোনো সংস্থা সিদ্ধান্ত নিলে তাতে অনিয়মের সম্ভাবনা থাকবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সামগ্রিকভাবে ঢেলে সাজালেই দেশের ১৭ কোটি মানুষ উন্নত চিকিংসা পাবেন। যা স্মার্ট বাংলাদেশ পড়ার ক্ষেত্রে আবশ্যক।
    প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান বলেন, অটোমেশন প্রক্রিয়ায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ভর্তিতে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে কোন কলেজে ছাত্র-ছাত্রী পাচ্ছে না সবার মধ্যে একটা হতাশা তৈরি হয়েছে ।ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক এবং মালিকদের মধ্যে খুব তৈরি হয়েছে এই বছর ৪৯ হাজার ছাত্রছাত্রী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তার মধ্যে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির জন্য যখন আবেদন কল করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সেক্ষেত্রে মাত্র ৬ হাজার ৩২০ টি আবেদন পড়েছে ।বেসরকারি কলেজের আসন সংখ্যা হচ্ছে 6500 এতে ১ঃ১ ও হয় নাই ভর্তি নীতিমালয়ে বলা হয়েছে যে ওয়ান ইনটু ফাইভ অর্থাৎ একজনের বিপরীতে পাঁচজন প্রার্থী কিন্তু প্রকৃত চিত্র হলো একজনের এগেনস্টে অনেক ক্ষেত্রে একজনও হয়নি l সবকিছু মিলে একটি হ যবরালো অবস্থা বিরাজ করছে পৃথিবীর কোন দেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী সরকার ভর্তি করে দেয়ার নিদর্শন নেই বাংলাদেশের এ ধরনের কোন এক্সাম্পল নেই । বেসরকারি মেডিকেল গুলোতে ভারতীয় দূতাবাসের তথ্য মতে প্রথম বর্ষ থেকে ইন্টার্নশিপ পর্যন্ত এই মুহূর্তে বারো হাজার বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী 12000 ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করছে এবং ২০০ মিলিয়নেরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে যেটা বিশ্বের এই সংকটময় মুহূর্তে দেশের ইকোনমিতে বড় ধরনের অবদান রাখছে । সুতরাং আমি বলব এটা চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের অর্জন এবং গৌরব বোধ করে অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা সেক্টরে এত বিশাল সংখ্যার বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করে না বা বিদেশি ছাত্রছাত্রী আসে না তাই সার্বিক অবস্থা বেসরকারি মেডিকেল কলেজ গুলোর অস্তিত্ব টিককে রাখা স্বার্থে পূর্বের নিয়ম ওহাল রাখার বিকল্প নেই ।
    Collected from bangladaily24