Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
সরকারি কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারীদের গ্রেড সুরক্ষার দাবি

অসাংবিধানিক, অমানবিক ও বৈষম্যমূলক ‘আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮’ এর কালো ধারা, উপধারা সংশোধন করে জিও জারিকালীন সপ্তম গ্রেড-প্রাপ্ত প্রভাষক, প্রদর্শক, শরীরচর্চা শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক, সহকারী গ্রন্থাগারিক, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বেসরকারি আমলে এমপিও শিটে প্রাপ্ত বেতন গ্রেড বহাল রাখাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে সরকারি হওয়া ‘কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী বেতন গ্রেড সুরক্ষা কমিটি।’

বুধবার (২১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে সরকারি হওয়া কলেজ শিক্ষিক-কর্মচারীদের বেসরকারি আমলে প্রাপ্ত বেতন গ্রেড সুরক্ষার দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।


সংগঠনটির দাবিগুলো তুলে ধরেন কমিটির আহ্বায়ক মো. শামসুল আলম। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে—


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সওব্য অনুবিভাগ গত বছরের ৬ জুলাইয়ের সভায় সদ্য সরকারিকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জনবল আত্তীকরণের কার্যক্রমের পর্যালোচনা সভার সিদ্ধান্ত/সুপারিশের ১ নম্বর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সুপারিশ (নিয়োগ বিধি সংশোধন) বাস্তবায়ন করতে হবে। ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বরে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা-৬ শাখার আয়োজিত সভায় সিদ্ধান্ত (খ) এর আলোকে সরকারিকৃত শিক্ষক কর্মচারীরা বেসরকারি আমলে যে গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন, সে গ্রেডে বেতনপ্রাপ্তির লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের মতামত গ্রহণপূর্বক পে-প্রটেকশনের  জন্য গত বছরের ২৭ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগকে যে গাইড লাইন তৈরি করতে বলা হয়, তা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রকাশ করতে হবে।

এছাড়া বেসরকারি থেকে সরকারি হলে বেতন কমেছে এমন নজির নাই। সুতরাং, সরকারি চাকরি ৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় সপ্তম গ্রেডধারীদের প্রমোশন দিয়ে সহকারী অধ্যাপকের মর্যাদা দিতে হবে। আত্তীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেসরকারি আমলের ধারাবাহিক চাকরির শতভাগ সময় সরকারি চাকরিকাল হিসেবে গণ্য করে বেতন ভাতাদি নির্ধারণ, জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ, পদোন্নতি, পেনশন ও ছুটিসহ সব ক্ষেত্রে কার্যকর করতে হবে।  সরকারি কলেজের মতো সরকারিকৃত কলেজের শিক্ষকদের জন্য পদ সোপান তৈরি করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কার্যকাল অতিক্রান্ত হলে পরবর্তী পদ প্রভাষক হতে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বিধান রাখতে হবে।


লিখিত বক্তব্যে মো. শামসুল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সরকারি কলেজবিহীন প্রতিটি উপজেলায়, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নামে একটি করে কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে সারা দেশে প্রায় ৩৫০টি কলেজ সরকারিকরণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারিকরণের কাজ চূড়ান্ত করতে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮ জারি করা হয়। কিন্তু এ বিধি অনুযায়ী, বেশিরভাগ শিক্ষক-কর্মচারীর পূর্বে প্রাপ্ত বেতন গ্রেড অবনমন করা হয়েছে। যা বেসরকারি আমলের বেতনের চেয়ে অনেক কম, বিষয়টি খুবই অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।’

সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী বেতন গ্রেড সুরক্ষা কমিটি কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বেতন গ্রেড সুরক্ষা কমিটি আশা করছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে গ্রেড সুরক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ইতিবাচক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তা না হলে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী বেতন গ্রেড সুরক্ষা কমিটি বঞ্চিত শিক্ষক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে তাদের ন্যায় সঙ্গত অধিকার আদায়ে বৃহৎ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— কমিটির সদস্য সচিব মো. সাজেদুর রহমান লিটু, যুগ্ম আহ্বায়ক নাছির উদ্দীন, বরিশাল বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক ফারুক ফকির, সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান প্রিন্স, রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক এমকে হাসান কিরন, সদস্য সচিব শাহজালাল, খুলনা বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক আশরাফ আলী, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
Collected From Banglatribune