Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১১২০ শ্রমিক বেকারের তালিকায়

মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ শিথিলকরণ প্রকল্পের অধীনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নেওয়া মোট এক হাজার ১২০ জন বিদেশি কর্মীকে কাজ নেই মর্মে ‘বেকার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটিকে বিদেশি শ্রমিকদের ডাম্পিং (বিদেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে কাজ না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া) ইস্যু হিসেবে দেখছে দেশটির সরকার। এমনটিই জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল।
মালয়েশিয়ার সংবাদ সংস্থা বার্নামাসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ডাম্পিংয়ের শিকার বেশিরভাগই বাংলাদেশি শ্রমিক এবং তাদের সার্ভিস সেক্টরের পরিচ্ছন্নতা ও ওয়াশিং শিল্পে কাজ করানোর জন্য নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজ দেওয়ায় তারা এখন বেকারের তালিকায়। এ ধরনের ঘটনা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবপাচার সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদনে (ইউএস টিআইপি রিপোর্ট) দেশের অবস্থানকে প্রভাবিত করবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন।
তিনি বলেছেন, বিদেশি কর্মী নেওয়ার সঙ্গে জড়িত বিদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি এবং নিয়োগকর্তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করাসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিদেশি শ্রমিকদের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সরকার বিদেশি শ্রমিকদের সেসব নিয়োগকর্তাদের নিয়োগ করতে অনুমতি দেবে যারা বিদেশি কর্মীর কল্যাণ নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেছেন, মালয়েশিয়ায় চার লাখের বেশি বিদেশি শ্রমিক নেওয়া আনা হয়েছে এবং আরও এক লাখ শ্রমিক প্রয়োজন হবে। তাদের মূলত নির্মাণ, উৎপাদন, পরিষেবা, বৃক্ষরোপণ এবং কৃষি- এ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় (কেএসএম) নিয়োগকর্তা বা বিদেশি নিয়োগকারী এজেন্টগুলোকেও ট্র্যাক করেছে। যারা সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগের জন্য কোটার আবেদন করেছে এবং তাদেরই শুধু কোটা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এভাবে মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়ে কাজ না দিয়ে ডাম্পিং করা হলে মানবপাচারের ক্ষেত্রে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে (আমেরিকার মানব পাচার প্রতিবেদন)।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচারের ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার অবস্থান টায়ার তিন থেকে টায়ার দুই ওয়াচ লিস্টে উন্নীত করেছে। এ অবস্থান বজায় রাখতে বিদেশি কর্মী ব্যবস্থাপনায় বেশ কয়েকটি বিষয় মেনে চলার চেষ্টা করছে মালয়েশিয়া সরকার।
Collected From jagonews24