পরিবেশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বাড়াতে ‘গ্রিন আর্থ কোয়েস্ট’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেড (ইএটিএল)। সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক।
সোমবার (৩১ জুলাই) রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ প্রতিযোগিতার নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এর নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের যেকোনও স্কুল, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের শিক্ষার্থীরা তিন জনের দল গঠন করে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৩ লাখ টাকা পুরস্কার। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ দল পাবে যথাক্রমে ২ ও ১ লাখ টাকা পুরস্কার। তৃতীয় রানার্সআপ ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার পাবে। এছাড়া শীর্ষ ১৬টি দল এবং অনলাইন রাউন্ডে বিজয়ী দলগুলোকেও বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘মানসম্পন্ন শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের দিকে পরিচালিত করতে হবে। আমরা এখন অসাধারণ পরিবর্তনের একটি সময়ে বসবাস করছি। সুস্থ, উৎপাদনশীল জীবন এবং নিরাপদ অর্থপূর্ণ কর্মসংস্থানের জন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এসব জ্ঞান ও দক্ষতা শিক্ষার্থীদের সবুজ এবং টেকসই বিশ্ব গঠন করতে সাহায্য করবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস অফিসার মোখলেসুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর।
অনুষ্ঠানে ইএটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান বলেন, গ্রিন গ্রোথ বা পরিবেশবান্ধব প্রবৃদ্ধি বলতে পরিবেশগতভাবে টেকসই একটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বোঝানো হয়ে থাকে। আগামীর পৃথিবী হবে জ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতিযোগিতার। একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের বাইরে শিক্ষা, ক্রীড়া, বিজ্ঞান মেলা আয়োজনের কোনও বিকল্প নেই। প্রতিযোগিতায় দলগতভাবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় সচেষ্ট হবে।
এই কুইজে মোট ৩০টি প্রশ্ন থাকবে। সব প্রশ্নের মান হবে ১ করে। কুইজের সব প্রশ্নই বহু নির্বাচনি হবে। অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্ন করা হবে সহনশীল পরিবেশ, দূষণ হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা, ডিজিটাল দক্ষতা, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, গণিত, পরিবেশবান্ধব, টেকসই জীবনযাপন এবং ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ের ওপর।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, নিবন্ধন চলবে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
Collected From Banglatribune