সরকারের সক্ষমতা যাচাই করে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৯ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার পর্যায়ক্রমে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয়করণের বিষয়ে যৌক্তিকতা, কার্যকর নীতিমালা তৈরি, আর্থিক সংশ্লেষ এবং সরকারের সক্ষমতা যাচাই করে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ একটি নীতি নির্ধারণী বিষয় হওয়ায় বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন বলে কমিটিকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কমিটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সভাপতি পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এইচ.এস.সি নির্ধারণ করে প্রবিধানমালা চূড়ান্ত করে দ্রুত প্রজ্ঞাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
কমিটি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলকে (বিএসি) উচ্চ শিক্ষায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ড ও অ্যাক্রেডিটেশনের মাধ্যমে একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
কমিটির সভাপতি সাগুফতা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মো. আব্দুল কুদ্দুস, ফজলে হোসেন বাদশা, আব্দুস সোবহান মিয়া, এম এ মতিন এবং গোলাম কিবরিয়া টিপু অংশগ্রহণ করেন।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাগুফতা ইয়াসমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কমিটি বৈঠকে জাতীয়করণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সরকার জাতীয়করণের চেয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারে আন্তরিক। কোন কোন খাতে কী পরিমাণ তাদের ভাতা বাড়ানো যায় তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের সংখ্যা বিবেচনা করে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
জাতীয়করণ প্রশ্নে কমিটির সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেছেন। তবে আমরা দেখেছি জাতীয়করণ করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভালো ফলাফল করেছে। সিদ্ধান্ত যাই হোক সবার বিষয়টি বিবেচনা করে নেওয়া হবে।
Collect From Banglatribune