কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ব্যবসার অবিচ্ছেদ্য অংশ
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাসংক্রান্ত অর্জনগুলোকে আরো এগিয়ে নেয়া এবং বিশ্ববাজারে পোশাক সোর্সিংয়ের পছন্দসই কেন্দ্র হিসেবে অর্জিত অবস্থান ধরে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার বিষয়টি ব্যবসার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।’
গতকাল আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিলের (আরএসসি) উদ্যোগে নতুন করে আরএসসিতে তালিকাভুক্ত হওয়া ১৯টি স্বাধীন কারখানাকে স্বাগত জানানোর জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর সভাপতি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গত দশকে শিল্পে ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে নিরাপত্তার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, যেখানে উদ্যোক্তা এবং শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। শিল্প এখন কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার বিষয়টিকে ব্যবসার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখছে।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি মিরান আলী, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, আরএসসির পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা, আরএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হক, আরএসসির চিফ সেফটি অফিসার জর্জ বি ফলার, আইবিসিএর সভাপতি আমিরুল হক আমিন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক লীগের সভাপতি জেডএম কামরুল আনাম, ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্সের সাধারণ সম্পাদক চায়না রহমান এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার।
ফারুক হাসান তার বক্তব্যে ব্র্যান্ডের মনোনয়ন ছাড়াই আরএসসিতে নতুন পোশাক কারখানা তালিকাভুক্ত করার জন্য আরএসসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এটি আরো স্বাধীন কারখানাগুলোর জন্য আরএসসিতে তালিকাভুক্ত হওয়ার পথ প্রশস্ত করে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘পূর্বে, কেবলমাত্র ব্র্যান্ডের মনোনয়ন থাকলে কারখানাগুলোকে আরএসসিতে তালিকাভুক্ত করা যেত। কিন্তু এখন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর সদস্য যেকোনো রফতানিমুখী পোশাক কারখানাও বিজিএমইএর মনোনয়ন নিয়ে আরএসসির অধীনে তালিকাভুক্ত হতে পারে।
Collected from bonikbarta