২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘অফিস অব দি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স’। বিদেশি শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রদান ও সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিদেশে শিক্ষা-গবেষণা কাজে তথ্য ও সহযোগিতার জন্য ঢেলে সাজানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যান্ডিং ও আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ের জন্য বিশেষ ভূমিকাও রাখবে প্রতিষ্ঠানটি।
গত ১৩ এপ্রিল অফিস অব দি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান ঢাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তুজা। দায়িত্ব পেয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এটিকে কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি। ড. সামসাদ ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) সহ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তুজার সঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনের কথা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে পরিচালকের সাক্ষাৎকারে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার এস এম আববাস।
বাংলা ট্রিবিউন: অফিস অব দি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তুজা: ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ইউজিসির অনুমোদন এখনও পায়নি। এ জন্য যে ব্যাপ্তিতে কাজ হওয়ার কথা ছিল, যতটা বেগবান হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। আমার প্রধান পরিকল্পনা হচ্ছে, প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে তথ্যসেবা দেওয়া এবং শিক্ষা ও গবেষণা কাজে তাদের সহযোগিতা করা। এই মুহূর্তে বিদেশি ছাত্র আছে ৭০ জন। আমাদের সঙ্গে যদি অ্যাফিলিয়েটেড মেডিক্যাল কলেজ ধরি, তাহলে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট, ল্যাঙ্গুয়েজসহ ১০ হাজার ছাত্রকে সার্ভিস দিই এই অফিসের মাধ্যমে।
বাংলা ট্রিবিউন: এই সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের সক্ষমতা কী? চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কীভাবে করবেন?
ড. সামসাদ: আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো ইউজিসি থেকে অর্গানোগ্রাম রিকগনাইজ করা হয়নি। লোকবলের অভাবে কাজ যে লেভেলে যাওয়া উচিত ছিল, সেটা করতে পারিনি। কিন্তু কাজ থেমে থাকেনি। আগে আমার যে কলিগ ছিলেন, তিনি রেজিস্ট্রার অফিসে লিংক অফিস করে কাজ করতেন। মোট চার সেকশন বেইজ লিংক অফিসে কাজ করতেন। তা দিয়ে পুরোপুরি সার্ভিস দেওয়া সম্ভব ছিল না।
বাংলা ট্রিবিউন: অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মূলত কী কী সেবা দেওয়া হবে?
ড. সামসাদ: বহিরাগত ছাত্র যারা আসেন, তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া করা, অ্যাডমিশন কোয়েরিজ অ্যাড্রেস করা, যে বিভাগে ভর্তি হতে চায় সে বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া, ভিসা প্রসেসিং করার জন্য রিলেভেন্ট অফিস যেগুলো আছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ইমিগ্রেশন এগুলো তৈরি করা, এয়ারপোর্টে পিকআপ করা, হেলথ ইনস্যুরেন্স করা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যেসব এমওইউ হয়, অফিসগুলোর সঙ্গে সেগুলো বা অ্যাগ্রিমেন্ট হয়, সেগুলো এই অফিস করে। সবক’টিতে ইনভলব থাকি না। তবে এটার লিস্ট অফিসের কনগিজেন্স নিয়ে করা হয়।
এ ছাড়া বিদেশ থেকে যেসব ভিজিটিং স্কলার ও প্রফেসররা আসেন, তাদের ফেসিলিটেড করা আমাদের কাজের একটা অংশ। এমফিল-পিএইচডি করতে যদি আসেন, এটা দেখেন সহ-উপাচার্য। এমফিল-পিএইডডি করতে যারা আসেন, আমরা তাদের অ্যাকোমোডেট করি। আমাদের যেসব ছাত্র বিদেশে পড়তে যায়, তাদের সার্টিফিকেট ইকুভ্যালেন্ট করি।
বাংলা ট্রিবিউন: শিক্ষার্থীরা কীভাবে এসব সেবা সহজে নিতে পারবে?
ড. সামসাদ: এই অফিসটাকে ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার হিসেবে তৈরি করবো, যাতে এক অফিসে এলেই সব সার্ভিস পাওয়া যায়। চার জন ডেপুটি রেজিস্ট্রার লেভেলের লোক এখানে জড়িত। অনেক বেশি আমলাতান্ত্রিক অবস্থায় পড়ে যায়। এর কাছে গেলে বলেন ওর কাছে যাও। এ থেকে যেন বেরিয়ে আসতে পারি। আমাদের যদি যথেষ্ট লোকবল থাকে, তাহলে লিংক অফিসের ওপর চাপ কমিয়ে এখানেই সার্ভিসগুলো দিতে পারবো। বিদেশি একজন ছাত্রকে হেলথের জন্য এক অফিসে, স্কলারশিপের জন্য আরেক অফিসে, হোস্টেলের জন্য আরেক অফিসে যেতে হয়। এই কষ্টগুলো যাতে লাঘব হয়, এ জন্য অফিস অব দি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার তৈরি করি।
দ্বিতীয়ত, এই ওয়ানস্টপ ইনওয়ার্ড এখান থেকে যারা বাইরে যাচ্ছে, যেমন কম্পিটিশিনে যেতে চায়, ফুলব্রাইট স্কলারশিপে যেতে চায় বা ইন্টার্নশিপে যেতে চায়, আমি তাদের মোবিলাইজ করাতে চাই। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল স্টেইকহোল্ডার ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি এবং ইউনেসকো আছে, তাদের নিয়ে মিটিং করে যেন শিক্ষার্থীদের সাপোর্ট দিতে পারি।
বাংলা ট্রিবিউন: ঢাবি দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হলেও বিশ্ব র্যাংকিংয়ে স্থান নেই, এ ব্যাপারে এই বিভাগ কী ভূমিকা রাখতে পারে?
ড. সামসাদ: র্যাংকিং নিয়ে বারবার কথা হচ্ছে, আমরা পিছিয়ে পড়ছি। প্রতিটা র্যাংকিং এজেন্সি ইউএস, টাইমস হায়ার এডুকেশনস। ইন্টারন্যাশনালাইজেশনের ওপর ৫ নম্বর। ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস প্রেজেন্স, ফ্যাকাল্টি প্রেজেন্স, আর রিসার্চ, কোলাবোরেশন তো আছেই। কেউ কেউ বলে ২০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। বড়গুলোর ক্ষেত্রে টাইমস হায়ার এডুকেশন, ইউএস এক রকম; ছোটগুলোয় আরেক রকম ক্রাইটেরিয়া। কিন্তু এটা যদি না থাকে, তাহলে জিরো পাবে।
আমাদের টার্গেট এসডিজি। এসডিজি-৪-এ কোয়ালিটি এডুকেশনের কথা বলা হয়েছে। এসডিজির ১৭ নম্বরে রয়েছে পার্টিসিপেশন যে আমরা কমিউনিটিকে হেল্প করি কিনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে রিজিওনাল হাব হিসেবে যদি এশিয়ার শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় হতে চাই, তাহলে রিজিওনের অন্যকে আমরা সহায়তা করি কিনা। এটা টেকনোলজি দিয়ে হতে পারে, নলেজ দিয়ে হতে পারে, স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে হতে পারে। আমি যদি ভুটান ও মালদ্বীপ থেকে ছাত্র আনি, সেভেন সিস্টার থেকে ছাত্র আনি, তাদের বিনা পয়সায় পড়াই, তাহলে র্যাংকিং আমাকে হেল্প করবে। তখন আমরা বলতে পারবো আমরা মাল্টি-কালচারাল ইনক্লুসিভ ইউনিভার্সিটি। এটা যদি করি, তাহলে আমরা ধর্ম, বর্ণ, জাতির বাইরে গিয়ে একটা আন্তর্জাতিক ইনক্লুসিভ ইউনিভার্সিটি করতে পারবো। আর এটা প্রমাণ করার বড় জায়গা হচ্ছে অফিস অব দি ইন্টারনাশনাল অ্যাফেয়ার্স।
বাংলা ট্রিবিউন: র্যাংকিংয়ের জন্য আর কী পরিকল্পনা রয়েছে?
ড. সামসাদ: আমার চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের কালচারালি সেনসিটিভ ইন্টারন্যাশনাল ইনক্লুসিভ ইউনিভার্সিটিতে তৈরি করা। এ জন্য স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করতে হবে। সেই স্টেকহোল্ডার হলো যারা স্কলারশিপ দেয়, এলামনাই ও আমাদের প্রশাসন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় চারটি পা থাকে। এরমধ্যে প্রধান হচ্ছে ছাত্র। বাকিগুলো হলো শিক্ষক, অ্যাডমিন ও অ্যালামনাই। এই চার পায়ের এক পা ছাড়া স্ট্যাবিলিটি আনতে পারবো না। যদি কোনও টেকসই রোল হতে হয়, তাহলে একটি সঙ্গে আরেকটির সম্পর্ক হিসেবে কাজ করতে হবে। বিদেশে যেসব ছাত্র পড়তে গেছে, যারা ফ্যাকাল্টি হিসেবে আছে, অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে আছে, বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে আছে, রেক্টর হিসেবে আছে; তাদের নলেজ শেয়ারিং করতে হবে।
বাংলা ট্রিবিউন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত করানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা নেওয়া জরুরি কিনা?
ড. সামসাদ: বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফেরামে হয়তো অনেকে মনে করতে পারেন যে ১০০ বছরের পুরোনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যান্ডিংয়ের প্রয়োজন নেই। বাস্তবতা হচ্ছে ব্র্যাডিং ছাড়া আজকের ডিজিটাল যুগে র্যাংকিং ছাড়া যে যত বেশি নিজেকে সামনে নিয়ে আসতে পারছে, তার তত বেশি পারসেপশন ক্রিয়েট করতে পারছে। এই পারসেপশনের ওপর থাকে ২৫ শতাংশ নম্বর, যে অন্যরা আপনার বিশ্ববিদ্যালয়কে রিকগনাইজ করে কিনা। সুতরাং আপনি যত বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ থাকবেন, যত বেশি অ্যাকাডেমিক রিসার্চ ডিসিপ্লিন হবে; আপনি যখন গুগলে সার্চ করলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চলে আসবে। তারা এমনভাবে অ্যালগরিদম ম্যানিপুলেট করছে, সুতরাং কে কত বেশি আপনার পেজ বা ওয়েবসাইট ভিজিট করছে। এসব জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বাইরের কেউ যায় বলে মনে হয় না। আমাকে আমার সাইটের কনটেন্ট চেঞ্জ করতে হবে। এই জায়গায় আমাদের ঘাটতি রয়ে গেছে। সেটা এখন বড় চ্যালেঞ্জ যে কীভাবে সাইটের ভিজিটর বাড়ানো যায়।
এ ছাড়া এডুকশনের বিভিন্ন কনফার্সে আমাদের পার্টিসিপেশন বাড়াতে হবে। ইনোভেশন কম্পিটিশন, কালচারাল কম্পিটিশন হচ্ছে। এসব জায়গায় বাড়াতে হবে। শুধু অ্যাডমিন নয়, ছাত্র, ফ্যাকাল্টি অন্যদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। এসব জায়গায় অংশগ্রহণ না বাড়ালে পরসেপশন চেঞ্জ হবে না। বিদ্যমান যে এমওইউ আছে, কতগুলো ইফেক্টিভ, যেগুলো ইফেক্টিভ নয়, সেগুলোকে ইফেক্টিভ করা। যেমন একটি ছবি তুলে এমইউ করা। এটা করার জন্য করা। এগুলো থেকে বের হয়ে এসে সত্যিকারের মিনিংফুল কিছু করতে হবে।
বাংলা ট্রিবিউন: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের দায়বদ্ধতা তৈরিতে কোনও ভূমিকা রাখা যায় কি?
ড. সামসাদ: অ্যাপ্রোনারশিপ, স্টাডি অ্যাব্রোড এবং ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম, ছাত্রদের সত্যিকার অর্থে তাদের ক্যারিয়ার প্লেসমেন্টে সহযোগিতা করা। একটি বড় অরগানাইজেশনে আমরা ইন্টার্নশিপে পাঠাই, সেখান থেকে যদি সে একটি চাকরিতে যেতে পারে, সে যদি সেই চাকরিতে যায়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তার এটি দায়বদ্ধতা তৈরি হবে। প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমান ছাত্রদের সঙ্গে একটি কানেকটিভিটি তৈরি করার কথা বলেছি। প্রাক্তন ছাত্রদের মাধ্যমে স্টেইকহোল্ডারদের কাছে পৌঁছানো। এসব নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে। অফিস অব দি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের এখন একটি ওয়েবসাইট করতে হবে। যেসব ছাত্র রয়েছে, তাদের নিয়ে মিড দ্য ডিরেক্টর করা হবে। মিনিস্ট্রি অব ফরেন, ইমিগ্রেশন সার্ভিস এদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা। স্টুডেন্ট অ্যাম্বাসেডর তৈরি করা। কেউ যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসবে, তখন স্টুডেন্ট অ্যাম্বসেডল ক্যাম্পাসটা ঘুরিয়ে দেখাবে। স্মার্ট শিক্ষার্থী তৈরি করা, যারা জার্মান ভাষা, ইংরেজি, ফ্রেন্স জানে, এসব ছাত্র সংগ্রহ করতে ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছে পাঁচ জন করে ছাত্র চাইলাম। তারা হরে ট্যুর গাইডের মতো। বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আকটে রাখলে হবে না।
বাংলা ট্রিবিউন: এসব কাজে বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা দেবে কিনা?
ড. সামসাদ: আমার পজিশন অবৈতনিক। সবকিছু টাকা দিয়ে বিবেচনা করলে হবে না। কাজ শুরু করলে বরাদ্দ সমস্যা হবে না। উপাচার্য খুবই আন্তরিক। সহ-উপাচার্যও আন্তরিক। বড় কোনও কাজ যখন সামনে আসবে, আমি নিশ্চিত যে সিনিয়র সহকর্মীরা আমাকে সহযোগিতা করবেন, বরাদ্দ পাবো।
বাংলা ট্রিবিউন: শিক্ষার্থীরা আপনার অফিস চিনিয়ে দিতে পারেনি কেন?
অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তুজা: সে কারণেই ভিসি স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। সহ-উপাচার্যও আমাকে সহযোগিতা করছেন। সবকিছু ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সেবার মান ঠিক থাকলে অফিস অব দি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
Collected From Banglatribune