Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
ডি-নথিতে যুক্ত হলো আরও ১০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে ডি-নথির (ডিজিটাল নথি) সঙ্গে যুক্ত হলো দেশের আরও ১০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এই নিয়ে মোট ১৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি কার্যক্রম শুরু হলো।
রবিবার (১৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-নথি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউজিসি’র ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ডি নথির মাধ্যমে যেকোনও স্থান থেকে ফাইল নিষ্পত্তি করা যায়। ফলে কোনও ফাইল আটকে থাকছে না, বাড়ছে কাজের গতি। এতে দাফতরিক কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে এবং দুর্নীতির সুযোগ কমছে। তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ডি-নথি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির কথাও বলেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ইউজিসিকে ধন্যবাদ জানান দীপুমনি।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ডি-নথির ব্যবহার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দাফতরিক কাজে গতিশীলতা নিশ্চিত করবে। সবাইকে গতানুগতিক মানসিকতা পরিহার করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে পাঠদানের বাইরে আইসিটি অবকাঠামো বিষয়ে বাস্তবজ্ঞান প্রদান এবং নিজেদের বিশ্ববদ্যিালয়ের জন্য ডি-নথির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের পরামর্শ দেন উপমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ইউজিসির আইনি সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকার কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ইউজিসি দেশের কলেজগুলোর শিক্ষার মান তদারকি করতে পারে। এছাড়া, এনডাউমেন্ট ফান্ড গঠন এবং গবেষণা খাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও অ্যালামনাই যুক্ত করতে ইউজিসিকে একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করতে হবে।

অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ডিজিটাল নথি বাস্তবায়ন করা গেলে ফাইলের স্তূপ কমবে, সেবা প্রত্যাশীরা স্মার্ট সেবা পাবেন এবং ভোগান্তি কমে যাবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ডিজিটাল নথি বাস্তবায়নে আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন।

অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, উদ্ভাবন ও গবেষণায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এবং রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইউজিসির এটুআই এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মনির উল্লাহ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম ধাপে দেশের ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি নথি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
Collected From Banglatribune