হাঁসের মাংসে প্রোটিন, ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি সেলেনিয়াম, আয়রন, নিয়াসিনসহ আরও অনেক খনিজ পদার্থ আছে। চামড়াসহ হাঁসের মাংসে অধিক মাত্রায় ফ্যাট ও কোলেস্টেরল থাকে। গরুর মাংসের চেয়ে হাঁসের মাংসে চর্বির পরিমাণ বেশি। এই চর্বির মধ্যে সম্পৃক্ত চর্বির পাশাপাশি অসম্পৃক্ত চর্বিও আছে। সম্পৃক্ত চর্বিতে আছে কোলেস্টেরল। খনিজ উপাদানের মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাগনেশিয়াম ও সেলেনিয়াম। হাঁসের মাংসে ফ্যাটি অ্যাসিডও থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। তাই হাঁসের মাংস নিয়মিত খেলে স্বাভাবিকভাবেই দ্রুত ওজন বাড়ে। তা ছাড়া শরীরও উষ্ণ করে এই ফ্যাটি অ্যাসিড। অর্থাৎ এ কারণেই গরম লাগে।
হাঁসের চর্বি লিনোলিক অ্যাসিডের একটি দারুণ উত্স, তবে এতে ক্যালরি আর সম্পৃক্ত চর্বি দুটোই বেশি। আপনি যদি একসঙ্গে পরিমাণে বেশি হাঁসের মাংস খেয়ে ফেলেন তবে সেটা নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। হাঁসের মাংস যেহেতু সম্পৃক্ত চর্বিসমৃদ্ধ খাবার, তাই এটি আপনার মোট কোলেস্টেরলের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। যে কারণে আপনার হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। অতএব হাঁসের মাংস বা চর্বি পরিমিত পরিমাণে খেতে বলা হয়। রান্নার জন্য হাঁসের চর্বি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এর উচ্চ ক্যালরির কথা মনে রাখুন। এক টেবিল চামচ হাঁসের চর্বিতে থাকে ১১৩ কিলো ক্যালরি। তাই অতিরিক্ত হাঁসের মাংস বা চর্বিযুক্ত হাঁসের মাংস খেলে ওজন বাড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
Collected From prothomalo