Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
আটা-ময়দার দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে বাজারে

বাজারে আটা ও ময়দার দাম নতুন করে আবার বেড়েছে। প্যাকেটজাত আটা ও ময়দার দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে বাজারে চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল। মাছ ও মাংসের সঙ্গে এবার সবজির দামও চড়া।

টিসিবির হিসাবে, গতকাল মঙ্গলবার বাজারে প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এই দাম ছিল কেজিপ্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তবে টিসিবির হিসাবে খোলা আটার দাম এখনো বাড়েনি। কেজিপ্রতি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।

গত এক সপ্তাহে ময়দার দামও বেড়েছে। গতকাল প্যাকেটজাত প্রতি কেজি ময়দা বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এ দাম ছিল কেজিতে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। সেই হিসাবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেটজাত ময়দার দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ সময় খোলা ময়দার সর্বনিম্ন দাম ৬০ থেকে থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা। তবে মানভেদে খোলা ময়দা সর্বোচ্চ ৭০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। তাতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

কারওয়ান বাজারের রব স্টোরের ব্যবসায়ী নাইম হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আটা-ময়দার কাঁচামাল আমদানিনির্ভর হওয়ায় দাম প্রায় দুই বছর ধরে ওঠানামার মধ্যে আছে। পরিবেশকেরা আবার নতুন দামের আটা-ময়দা দেওয়ার কথা বলে গেছেন। তাতে দাম আবার কিছুটা বাড়বে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বেড়ে যায়। আর দেশে ডলারের বিনিময় হারও বেড়েছে। তাতে বাজারে দফায় দফায় আটা-ময়দার দামও বেড়েছে। তবে কয়েক মাস আগে দাম একটু কমেছিল। এখন আবার বাড়ছে। আটা-ময়দার দাম বাড়লে তাতে চাপে পড়েন সাধারণ মানুষও। 

মূল্যবৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীরা ডলারের উচ্চমূল্য এবং ঋণপত্রের সংকটকেই দায়ী করছেন। ব্যবসায়ীরা গম আমদানি করেই আটা-ময়দা তৈরি করেন। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় গম আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে খরচ বেশি পড়ছে। আবার ব্যাংকগুলো চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্রও খুলতে পারছেন না। তাতে আমদানিও কমেছে।

তবে সরকার পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি ঠিক রাখতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশনা দিয়েছেন। দেশে বছরে প্রায় ৭৫ লাখ টন গমের চাহিদা আছে। এর প্রায় ৬৫ লাখ টন আমদানি হয়।

Collected From Prothomalo