Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
২০২৪ সালে নতুন চাকরির সন্ধান করবেন এশিয়া-প্যাসিফিকের ৭৭% পেশাজীবী

এশিয়া-প্যাসিফিকের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের বেশি পেশাজীবী চাকরি পরিবর্তনের কথা ভাবছেন। চলতি বছরেই নতুন চাকরির সন্ধানে সক্রিয়তা বাড়াতে পারেন তারা। অঞ্চলটির ৭৭ শতাংশ পেশাজীবী নতুন চাকরিতে যেতে চান। এমন তথ্য উঠে এসেছে লিংকডইনের সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনে।  এতে এশিয়া অঞ্চলের কর্মসংস্কৃতিতে পেশাজীবীদের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। খবর গালফ নিউজ।
চাকরি পরিবর্তনে আগ্রহীদের ক্ষেত্রে এগিয়ে মূলত জেনারেশন জেড (যারা ১৯৯৭-২০১০ সালের মধ্যে জন্ম নিয়েছে) এবং মিলেনিয়ালরা (যারা ১৯৮১-১৯৯৬ সালের মধ্যে জন্ম নিয়েছে)।
লিংকডইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এশিয়া অঞ্চলের পেশাজীবীদের জন্য নতুন চাকরি খোঁজার বর্তমান প্রবণতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে উচ্চ বেতনের চাহিদা, উন্নত কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনে ভারসাম্য।
এদিকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২০২৪ সালে বেশির ভাগ বড় বহুজাতিক কোম্পানি তাদের কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। যাদের মধ্যে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বেশি কর্মী নিয়োগ করবে বলে জানা গেছে। এ অঞ্চলে চাকরি বৃদ্ধির পটভূমিতে পেশাজীবীরা নতুন চাকরির খোঁজ করছেন।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ অঞ্চলের প্রায় ৬০ শতাংশ পেশাজীবী নতুন চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহারের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, এআই তাদের আরো কার্যকরভাবে নতুন চাকরি খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। অন্যদিকে বৈশ্বিক পর্যায়ে এআইয়ের মাধ্যমে চাকরি খোঁজার বিষয়ে আশাবাদী মাত্র ৫২ শতাংশ পেশাজীবী। প্রতিবেদনে বিশেষ করে উল্লেখ করা হয় সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ার কথা। এ দুই দেশে নতুন চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে চাকরি প্রার্থীরা বাড়তি মানসিক চাপের মুখে পড়েন।
এদিকে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, চাকরির বাজারে ক্রমেই মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে এআই। এর মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরি প্রভাবিত হবে। আর উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর ক্ষেত্রে এ প্রভাব ৬০ শতাংশ পর্যন্ত হবে।
চলতি বছরে এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন কোম্পানিগুলোয় নিয়োগ সম্প্রসারণ করার কথা থাকলেও বর্তমানে চাকরির বাজার-বাস্তবতা ভিন্ন। কারণ এশিয়া অঞ্চলে কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী প্রভাব, চীনের অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ভারতে মূল্যস্ফীতি, অস্ট্রেলিয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া়সহ অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাগুলো নতুন চাকরি পাওয়া ও বেকারত্বের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
লিংকডইনের ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞ পূজা ছাবরিয়া জানিয়েছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ কর্মজীবীরা নতুন চাকরির খোঁজ করছেন। চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক পরিবেশে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরো বেশি বেতনের প্রয়োজন।
পূজা ছাবরিয়া আরো জানান, প্রায় অধিকাংশ কোম্পানি কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী অফিসে কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে চালু ও বাধ্যতামূলক করেছে। তবে কভিড-পরবর্তী পেশাজীবীদের কর্মসংস্কৃতিতে এক প্রকার মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনও লক্ষ করা গেছে। যে কারণে অনেকেই এখন নমনীয় কাজের সংস্কৃতি রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানে চাকরির সন্ধান করছেন। তাই ক্যারিয়ারবিষয়ক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বর্তমানে পেশাজীবীরা কর্ম ও ব্যক্তিজীবনের ভারসাম্যের পাশাপাশি সামগ্রিক সুস্থতার নিশ্চয়তা রয়েছে -এমন পেশার দিকে ঝুঁকছেন।
Collected from bonikbarta