Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
কুয়েতে খণ্ডকালীন চাকরির অনুমতি পাচ্ছেন বিদেশীরা

বিদেশীদের খণ্ডকালীন কাজের অনুমতি দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ কুয়েত। দেশটির দ্য পাবলিক অথরিটি ফর ম্যানপাওয়ার (পিএএম) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে খণ্ডকালীন চাকরির আবেদনের নিয়ম, শর্ত ও অনুমতি ফি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে। 
আগে থেকেই কুয়েতে বসবাস করছেন এমন বিদেশীদের কথা বিবেচনায় রেখে খণ্ডকালীন চাকরির পরিকল্পনাটি সাজানো হয়েছে। এর আগে গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে প্রথমবারের মতো এ বিষয়ে ঘোষণা দেয় কুয়েত সরকার। তখন জানানো হয়, বিদেশীদের খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ নিয়ে ভাবা হচ্ছে।
বিদেশীদের এ খণ্ডকালীন সুবিধা দিতে সাহেল নামের একটি অ্যাপ চালু করেছে পিএএম। যেখানে কুয়েতে বসবাসরত অন্য দেশের নাগরিকরা খণ্ডকালীন কাজের আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য কিছু শর্ত ও আবেদন ফি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
দেশটিতে এক মাসের খণ্ডকালীন চাকরির আবেদন করতে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ দিনার, বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা। তিন মাসের জন্য ১০ দিনার বা ৩ হাজার ৫৫২ টাকা। ছয় মাস ও এক বছরের জন্য ফি ধার্য করা হয়েছে যথাক্রমে ২০ দিনার ও ৩০ দিনার, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৭ হাজার ১০৫ টাকা ও ১০ হাজার ৬৫৮ টাকা। 
কুয়েতের স্থানীয় নাগরিকরাও খণ্ডকালীন চাকরির নতুন পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত। তাদের শর্ত ও ফি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী, তারা শুধু মূল নিয়োগকর্তার অনুমোদন নিয়ে খণ্ডকালীন কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
গত ডিসেম্বরে জানানো হয়েছিল, মূল নিয়োগকর্তার কাছ থেকে খণ্ডকালীন কাজের অনুমতি পেলে কর্মীরা সর্বোচ্চ ৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন। তবে এ সুবিধা শুধু বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্যই প্রযোজ্য।
কুয়েতের শ্রম আইন অনুযায়ী এতদিন দেশটিতে খণ্ডকালীন চাকরি নিষিদ্ধ ছিল। কেউ এ আইন অমান্য করলে তাকে জেল-জরিমানাসহ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হতো। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আইনটির পরিবর্তন করেছে কুয়েত সরকার, ফলে ৪ ঘণ্টা খণ্ডকালীন কাজের অনুমোদন পেয়েছেন কর্মীরা।
Collected from bonikbarta