Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
শিক্ষকদের জন্য যে বিশাল সুখবর দিলেন এ কে আজাদ

নিজ কলেজের শিক্ষকদের ব্যবহারের জন্য একটি মাইক্রোবাস দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংসদ সদস্য এ কে আজাদ। জানা গেছে, এ কে আজাদ ফরিদপুর সরকারি ইয়াছিন কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। এখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থ বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি কলেজের যেকোনো উন্নয়ন কাজ কাজ ও প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কে আজাদ বলেন, এ কলেজের প্রতি আমার অনেক ঋণ আছে। আমি দেখেছি এ কলেজের শিক্ষকদের চলাচলের কোনো যানবাহন নেই। এ বিষয়টি আমাকে ব্যথিত করেছে। যারা মানুষ গড়ার কারিগর তাদের এ দুর্দশা মেনে নেওয়া যায় না। আমি এ কলেজের প্রতিটি উন্নয়ন কাজে শরিক হতে চাই। আপাতত শিক্ষকদের চলাফেরার সুবিধার জন্য আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে একটি মাইক্রোবাস দেওয়া হবে। অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে মাইক্রোবসটি শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে যাবে।


তিনি বলেন, পাশাপাশি এ কলেজর যেকোনো উন্নয়নে আমি শরিক হতে চাই। সেটা একাডেমিক ভবন নির্মাণের সাহায্য হোক কিংবা ছাত্রাবাস নির্মাণে।


এ কে আজাদ বলেন, ফরিদপুরকে নিয়ে আমি অনেক স্বপ্ন দেখি। ফরিদপুরকে দেশের একটি বিশেষ ইকোনমিক জোন হিসেবে গড়ে তুলতে বিদেশি ব্যবসায়ী এবং দেশের বড় ব্যবসায়ীদের নিয়ে মিটিং করে কাজ শুরু করেছি। দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ আছেন।

তিনি বলেন, ফরিদপুরের সম্পদ দিয়েই ফরিদপুরকে শিল্পের নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। ফরিদপুরের বেকারত্ব দূর করতে এ শহরের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকেই সেখানে কর্মসংস্থান করে দেওয়া হবে। এজন্য প্রতিটা স্কুলে প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষকদের আরও প্রগতিশীল হতে হবে, আধুনিকতার সাথে নিজের ছাত্রছাত্রীদের গড়ে তুলতে হবে। সেইসঙ্গে অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের মনে একটি স্বপ্নের জাল বুনে তাদের বড় করে তুলতে হবে।

এ কে আজাদ আরও বলেন, আমি পর্যায়ক্রমে জেলার প্রতিটা দপ্তরের সঙ্গে বসে এ শহরকে একটি বেকারমুক্ত এবং সন্ত্রাসমুক্ত স্মার্ট নগর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করব। সেখানে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি আমার যা সহযোগিতা করা লাগবে তাই আমি করব।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. জাফর সেখ ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়ক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ফাইজুর রহমান।

Collected From Daily Janakantha