Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
যে কারণে ৪২ মেডিকেল শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাজশাহী শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ বিএমডিসি কিংবা রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে ৪২ শিক্ষার্থীর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন এখন ধুলিস্যাতের পথে।

রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, খোদ মন্ত্রণালয় থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

 জানা গেছে, রাজশাহী শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করলেও অনিয়ম যেন নিত্যসঙ্গী। প্রতিষ্ঠানটির নেই বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল বা বিএমডিসির অনুমোদন। এমনকি রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তও নয় এটি। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তিতে স্থগিতাদেশ দেয় মন্ত্রণালয়। এরপরও কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করায় প্রতিষ্ঠানটি।


বিজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। এমন প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বিপাকে মেডিকেল কলেজটির ৪২ শিক্ষার্থী।


রাজশাহী শাহ্ মখদুম মেডিকেল কলেজের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতারণার কারণে ৪২ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা পত্রিকায় ২০২০-২১ সেশন এবং ২০২১-২২ সেশনে এই মেডিকেল কলেজের বিজ্ঞাপন দেখে ভর্তি হয়। বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। কিন্তু ভর্তির পর জানতে পারে বিএমডিসি কর্তৃক কোনো অনুমোদন নেই প্রতিষ্ঠানটির।

তিনি আরও বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ ভুয়া ও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডা. জাকির হোসেন খন্দকার বলেন, ভর্তি বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারা শিক্ষা কার্যক্রম চালালে এর দায়-দায়িত্ব তাদের নিজেদের বহন করতে হবে। এমনকি তারা রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদালয়ের অধিভুক্ত না।

সম্প্রতি রাজশাহী সফরে গেলে বিষয়টি নজরে আনা হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামান্ত লাল সেনের। তিনি বলেন, বিষয়টি তার নজরে রয়েছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।

শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোনিরুজ্জামান স্বাধীন এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।  

Collected From Dainik Janakantha