সারাদেশে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
আগামী বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে আবেদন প্রক্রিয়া। অথচ, এখন পর্যন্ত নিয়োগের জন্য আবেদন করেছেন মাত্র ২৩ হাজার ৯৩২ জন প্রার্থী।
যাচাই-বাছাইয়ে তাদের মধ্য থেকেও বাদ পড়তে পারেন অনেকে। ফলে, কাঙ্ক্ষিত প্রার্থীর অভাবে ফাঁকাই থাকবে ৭৩ হাজারের বেশি পদ।
সোমবার (২০ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব ওবায়দুর রহমান।
তিনি বলেছেন, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৯৩২ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। আমরা আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করছি। আবেদন করা প্রার্থীদের মধ্যেও প্রাথমিক সুপারিশে কিছু প্রার্থী বাদ পড়তে পারেন।
জানা গেছে, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র ১৬ ও ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পেরেছেন। তবে ১৬তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ অধিকাংশ প্রার্থী চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন।
ফলে আবেদনের সংখ্যা আরও কমেছে। এ ছাড়া ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হলেও বয়স শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই আবেদন করতে পারেননি। বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ায় পদ ফাঁকা থাকলেও সেই অনুযায়ী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
এনটিআরসিএর পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কেউ নিবন্ধন সনদ অর্জনের পর তার মেয়াদ থাকবে তিন বছর। পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি থেকেই এ নিয়ম কার্যকর হয়েছে। ফলে বয়স ৩৫ বছরের কম—এমন অনেক প্রার্থীও আবেদন করতে পারেননি এবার।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে পদ সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৮৬। আর মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে উল্লেখ করায় গণবিজ্ঞপ্তিতে।
গত ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয় আবেদন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আবেদন শেষ হবে। চলতি মাসেই গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের নিয়োগে প্রাথমিক সুপারিশ করা হতে পারে।
Collected From RTVonline