বাংলাদেশিসহ ২৪ অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে রোমানিয়া
রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশ ২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন দেশের ২৩ জন অভিবাসীকে পুলিশি প্রহরায় নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এছাড়া ১৪ সেপ্টেম্বর এক তরুণ বাংলাদেশি অভিবাসীকেও ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বুখারেস্ট।
প্রথম দফায় পাঠানো ২৩ জনকে রোমানিয়ার আরাদ এবং ওটোপেনি শহরের আটক কেন্দ্র থেকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিবাসীদের মধ্যে ছিলেন ১৯ জন পুরুষ ও চারজন নারী।
এই অভিবাসীরা বিভিন্ন কারণে রোমানিয়ায় অনিয়মিত হয়ে পড়ায় তাদের পুলিশি প্রহরায় ফেরত পাঠানো হয়। যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সিরিয়া, লেবানন, ভিয়েতনাম, নেপাল, আজারবাইজান, ইথিওপিয়া ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক।
২৩ জনের মধ্যে ২২ জনই বৈধ ভিসা নিয়ে রোমানিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিলেন। তাদের মধ্যে ২০ জন ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের ভিসায় এবং দু’জন টুরিস্ট ভিসায় দেশটিতে যান। এছাড়া একজন অনিয়মিত উপায়ে দেশটিতে পৌঁছেছিলেন।
এই ২৩ অভিবাসীকে বেশ কয়েকটি আলাদা ফ্লাইটে দেশটির ক্লুজ নাপোকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বুখারেস্টে অবস্থিত হেনরি কোয়ান্ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বহিষ্কার করা হয়।
দেশ ছাড়ার সময় ২৩ অভিবাসীকে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র, ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকা এবং সুইস কনফেডারেশনের অঞ্চলে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আংশিকভাবে ইউরোপের অবাধ চলাচল অঞ্চল শেনজেন জোনে প্রবেশের পর থেকেই দেশটির অভিবাসন পুলিশ অভিবাসন প্রবাহের দক্ষ ব্যবস্থাপনা করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। দ্বিতীয় অভিযান পরিচালিত হয় গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর)। ওই দিন ২৪ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি তরুণকে ঢাকার উদ্দেশে ফেরত পাঠায় রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশ। তিনি ২০২৩ সালে বৈধ ভিসা নিয়ে গেলেও ভিসার মেয়াদ নবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
পরে তাকে বুখারেস্টের হেনরি কোয়ান্ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট যোগে ফেরত পাঠানো হয়। সীমান্ত ত্যাগের সময় তাকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রোমানিয়া, ইইউ, ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকা এবং সুইস কনফেডারেশনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
রোমানিয়া আংশিক শেনজেনে প্রবেশের অর্থ হলো দেশটিতে অবস্থানরত অভিবাসীদের রেসিডেন্স পারমিট বা বসবাসের অনুমতি থাকলে তারা বিমানযোগে শেনজেন জোনে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন। কিন্তু তারা চাইলেই সড়ক পথে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অন্য দেশে যেতে পারবেন না।
এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে আসা নিয়মিত অভিবাসীদের মধ্যে যারা নিয়োগকর্তা কিংবা অন্যান্য কারণে অনিয়মিত হয়ে পড়েন, তারা অনিয়মিত উপায়ে লরি কিংবা কোনও গাড়িতে চড়ে হাঙ্গেরি হয়ে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে চান। কিন্তু সীমান্তগুলোতে বুলগেরিয়া, তুরস্ক এবং রোমানিয়ার যৌথ টহলে প্রায়ই ধরা পড়েন অভিবাসীরা। সীমান্তে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি সিদ্ধান্ত জারি করে কর্তৃপক্ষ। ইনফোমাইগ্রেন্টস।