Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২৬৭ জন সচিবালয়ে, অন্তর্ভুক্তির দাবি

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়া ৪৩তম বিসিএসের চাকরিপ্রার্থীরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ পাওয়ার পর দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে তাঁরা কেন বাদ পড়েছেন—তা জানতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রশ্ন রাখছেন তাঁরা। এ ছাড়া প্রজ্ঞাপনে আবারও তাঁরা অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন। আজ বুধবার তাঁরা সচিবালয়ের সামনে জড়ো হন। ৪৩তম বিসিএসের দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়েছেন মোট ২৬৭ জন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাদ পড়া একজন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কষ্ট করে টিউশনি করে, নিয়মিত পড়ালেখা করে চার বছর পর পিএসসির সুপারিশ পেলাম। নতুন চাকরিতে জয়েন করার আনন্দে আমরা ছিলাম, কিন্তু দেখি গেজেট থেকে বাদ পড়েছি। আমাদের বাদ পড়ার কোনো কারণ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেনি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন প্রার্থী বলেন, ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলা হচ্ছে, অথচ নতুন চাকরিতে ঢোকার আগেই বৈষম্যের শিকার হলাম। আমাদের নামে মামলা না থাকলে শুধু শুধু কেন আমাদের বাদ দিল। আমাদের সহযাত্রীরা যোগ দেবে আর আমরা মুছব চোখের পানি। হাহাকার করে ওঠে আমাদের বুক। আমরা এই বৈষম্য থেকে রেহাই চাই। দ্রুত আমাদের বাদ পড়াদের সবার প্রজ্ঞাপন চাই।’
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন করে আবার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়েন ১৬৮ জন। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশপ্রাপ্ত ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। এসব প্রার্থীকে ১৫ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দিতে হবে।
৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন। সুপারিশের দীর্ঘ ১০ মাস পর ১৫ অক্টোবর যে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল, সেখানে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েছেন মোট ২৬৭ জন।
এর আগে ৪১তম বিসিএসের গেজেট থেকে বাদ পড়েন ৬৭ জন, ৪০তম বিসিএস থেকে ৩৪ জন, ৩৭তম বিসিএস থেকে ৬১ জন, ৩৮তম থেকে ৭৫ জন এবং ৩৬তম থেকে ৩৮ জন বাদ পড়েছিলেন।
Collected From Prothomalo