জাতীয়করণ করা স্কুল-কলেজের ৬৩ জন গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকের বেতন নবম ও দশম গ্রেডে নির্ধারণের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, সে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে তাদের বেতন ১৪-১৬ গ্রেডে নির্ধারণ সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের চিঠি কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া রিটকারী ৬৩ জনের বেতন নবম ও দশম গ্রেডে চলমান রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রবিবার (২৮ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্ল্যাহ্ মিয়া।
আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্ল্যাহ্ মিয়া।
তিনি বলেন, জাতীয়করণ করা কলেজে গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে কর্মরত কর্মকর্তারা নবম ও দশম গ্রেডে এমপিওভুক্তি হন ও কলেজ জাতীয়করণের পর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর নবম ও দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু মন্ত্রণালয় গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আদেশ দেয় এবং ১ ডিসেম্বর ও ১২ জানুয়ারি ১৪ ও ১৬ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করে চিঠি ইস্যু করে।
মন্ত্রণালয়ের এই চিঠি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ২৩ জন গ্রন্থাগারিক ও ৪০ জন সহকারী গ্রন্থাগারিক। আবুল কালাম মোহাম্মদ ফরহাদ, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, রূপনা মজুমদার, শাহজাদি আক্তার, বিপ্লব কুমার দাস, রাবিয়া আক্তার, আনিচাত-উর-রাইয়ান বিনতে খুরশেদ, মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, এ.কে.এম রেজাউল করিম এবং সেলিম হোসেনসহ মোট ৬৩ জন এ রিট দায়ের করেন। ওই রিট আবেদনের বিষয়ে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট।
COLLECTED FROM SAMPROTIK DESHKAL