Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
নতুন অফিসসূচিতে বিদ্যুতের ‌‌‌‌‌‘পিক-আওয়ার’ বদলাচ্ছে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

অফিসের সময়সূচি এগিয়ে আনায় সকালের দিকে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারের পিক আওয়ার দিনের বেলায় চলে এলে ‘একটি ভারসাম্য আসবে’ বলে তিনি আশা করছেন।
বুধবার থেকে সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসের সময় এক ঘণ্টা এগিয়ে এনে সকাল ৯টার বদলে কাজ শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়।
পাশাপাশি কর্মঘণ্টা কমানো হয়েছে এক ঘণ্টা। বিকাল ৫টার বদলে ৩টার সময় অফিস ছুটি হবে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাজের সূচিও বদলে গেছে। ব্যাংক চলবে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত, এর মধ্যে ৩টা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে।
অফিসের কাজের সময় এগিয়ে আনার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে সপ্তাহে। তবে ক্লাসের সময় রাখা হয়েছে আগের মতই।
নতুন অফিসসূচির প্রথম দিন সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “আমরা দেখলাম, আগে যে ট্রেন্ড ছিল, সকাল ১০টা থেকে বাড়ত (বিদ্যুতের চাহিদা)। এখন দেখলাম সকাল ৯টা থেকে (চাহিদা) বাড়া শুরু করেছে।
“এই মুহূর্তে ডেসকোর রিকোয়ারমেন্ট প্রায় এক হাজারের (মেগাওয়াট) উপরে চলে গেছে। তার মানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সিটির ভেতরে ডেসকো এবং ডিপিডিসির পিক আওয়ার (এমনিতে) থাকে দুপুরে, কিন্তু পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।”প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা চাচ্ছি যে সন্ধ্যা থেকে পিক আওয়ারটা যদি দিনের বেলায় চলে আসে, তাহলে একটা ব্যালেন্স করতে পারব সন্ধ্যা এবং দিনের বেলা।”
পিক আওয়ার হচ্ছে সেই সময়, যখন বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বাংলাদেশে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুতের পিক আওয়ার ধরা হয়। বাকি সময়টা অফ পিক আওয়ার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আরও একটা জিনিস আমরা আজ থেকে নিশ্চিত করতে চাই, মধ্যরাত থেকে সেচ পাম্পের জন্য আগামী ১৫ দিন যেন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকে। এটি আমার মনে হয় সম্ভব করে ফেলব। এটা আমি বলতে পারি।“দেখা যাক, আগামী একটা সপ্তাহ আমরা দেখি। যদি এটা কার্যকর হয়।তাহলে অন্তত বিদ্যুতের ব্যালেন্সটা ঠিক করতে পারব।”
রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের জেরে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে ব্যয় সশ্রয়ের চেষ্টা করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন নিয়ম করে লোড শেডিং করতে হচ্ছে।
এটা কতদিন চলবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “লোডশেডিং আমরা কমাচ্ছি। লোডশেডিং আমরা দিতে বাধ্য হয়েছি। যেহেতু আমাদের জ্বালানি ও গ্যাস শর্টেজ ছিল।
ওই জায়গা থেকে আমরা লোডশেডিং ব্যালেন্স করার চেষ্টা করছি। ব্যালেন্স করে আমরা সাশ্রয় করতে পারছি।”আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রয়োজনে মন্ত্রীদের বাসাতেও লোডশেডিং দেওয়া হোক। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী অনেকটা তড়িঘড়ি বলেন, “সবার বাসাতেই তো লোডশেডিং চলতেছে। কেউ বাদ যাচ্ছে না।”
Collected from bdnews24