অবসরে গিয়েও মানবেতর জীবন চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের
শেষ জীবনে একটু সুখে থাকার আশায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেছিলেন তারা। কিন্তু বিধিবাম। চাকরি শেষ হলেও কপালে জোটেনি শেষ পাওনা টুকু। দেশের ১৫টি চিনিকলের অন্তত ৪০০ কোটি টাকা বকেয়া অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের প্রভিডেন্ড ফান্ড ও গ্র্যাচুইটির টাকা। এর মধ্যে শুধু নাটোরের দুটি সুগার মিলের শ্রমিকদের পাওনা শতকোটি টাকা। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
নিজেদের প্রাপ্যটুকু পেতে গতকাল মাঠে নেমেছিলেন নাটোর ও নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীরা। করেছেন বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ। আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে সব পাওনা পরিশোধ না করলে সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধের পাশাপাশি আমরণ অনশনের কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারী ও কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান ভুলু।
নাটোর ও নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল সূত্র জানায়, নাটোর সুগার মিলে ৩৮৫ শ্রমিকের অন্তত অর্ধকোটি টাকা বকেয়া। আর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে ১৯৩ শ্রমিকের প্রায় ১৪ কোটি টাকা। তবে বরাদ্দ প্রাপ্তিসাপেক্ষে শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধের কথা জানান নাটোর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভুঁইয়া।
এদিকে বকেয়া পাওনার দাবিতে জয়পুরহাট সুগার মিলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারী কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য দেন জয়পুরহাট চিনিকলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আব্দুস সালাম ফকির, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি জহুরুল হক সওদাগর, শ্রমিক নেতা বাবুল করিম, আব্দুল হাদি, মিলের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আলী আখতার, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব রুমেল প্রমুখ।
প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন নাটোর, জয়পুরহাট ও পঞ্চগড় প্রতিনিধি
Collected from
bonikbarta


