চবিতে অবরোধের ডাক ছাত্রলীগের, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
পদবঞ্চিতদের মূল্যায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। আজ সোমবার ভোর ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে তালা দিয়ে অবরোধ শুরু করেন তারা। এতে শাটল ট্রেন-বাস বন্ধ হয়ে যায়। স্থগিত করা হয়েছে বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস-পরীক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ছয়টি উপগ্রুপ অবরোধে অংশ নেয়। এগুলো হলো- ভিএক্স, কনকর্ড, আরএস, বাংলার মুখ, এপিটাফ ও উল্কা। সবগুলো গ্রুপই সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। পদবিঞ্চত একাধিক নেতা জানান, পদবঞ্চিত, ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটি বর্ধিতকরণ, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদ পুনঃমূল্যায়ন ও পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণ এ তিনটি দাবি করে আসছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার বলেন, অনেক দিন ধরেই শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবিগুলো জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের এ দায়ভার শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকেই নিতে হবে।
চবি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ বিভাগেই চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে। অবরোধের ফলে আজকের সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, কমিটির দাবিতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূরণ করতে পারবো না। এর জন্য তাদের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক আছে কি? তারা নিজেরাই বিবেচনা করুক বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত কেন হবে। আমরা বিষয়টা সমাধানের চেষ্টা করছি।
প্রসঙ্গত, প্রায় ছয় বছর পর গত ৩১ জুলাই চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপরই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর প্রতি অনাস্থা জানান ৯৪ জন পদধারী নেতা।
Collected from bonikbarta