Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
তিন মাসের উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী

তিন মাসের উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী। গত ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ অর্থ প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
অবশেষে দ্রুত প্রকল্প সংশোধন করা হচ্ছে। এজন্য মঙ্গলবার প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক উপবৃত্তি (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক বন্ধ থাকায় যেকোনো সময় বিশেষ অনুমোদন দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ বুধবার যুগান্তরকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশে অতি দ্রুত প্রকল্পটির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে এ অর্থ পেলে শিক্ষার্থীদের উপকার হবে বিবেচনায় এমন নির্দেশ এসেছে। লকডাউনের কারণে অফিস বন্ধ থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে কাজ করা হয়েছে। তাছাড়া প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অফিসে ডেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা হয়।
সূত্র জানায়, প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন পেলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত উপবৃত্তির টাকা পাঠিয়ে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে এবার টাকার পরিমাণ বেড়ে সব শ্রেণিতেই যে পরিবারে একটি শিশু স্কুলে পড়ে সে পাবে মাসিক দেড়শ’ টাকা হারে তিন মাসে ৪৫০ টাকা।
এছাড়া যে পরিবারে দুটি শিশু স্কুল পড়ে তারা পাবে ৩শ’ টাকা করে ৯০০ টাকা। যে পরিবারের তিনটি শিশু স্কুলে পড়ে তারা পাবে ১২শ’ টাকা ও এক পরিবারের চারটি শিশু স্কুলে পড়লে তারা পাবে ১৫শ’ টাকা করে। প্রকল্পটির এ পর্যায় শেষে আর প্রকল্প আকারে থাকবে না।
এটি পুরোপুরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হবে। তাছাড়া রূপালি ব্যাংকের শিওর ক্যাশের মাধ্যমে টাকা পৌঁছে দেয়া হবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর মায়ের কাছে। কিন্তু আগে একজন শিক্ষার্থী বিশিষ্ট পরিবারকে মাসে ১শ’ টাকা, দুই শিক্ষার্থী বিশিষ্ট পরিবারকে ২শ’ টাকা, তিন শিক্ষার্থী বিশিষ্ট পরিবারকে ২৫০ টাকা ও চার শিক্ষার্থী বিশিষ্ট পরিবারকে মাসে ৩শ’ টাকা করে উপবৃত্তি দেয়া হতো।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) রতন চন্দ্র পণ্ডিত যুগান্তরকে বলেন, অতি দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। দেড় বছর পর সরকারের রাজস্ব খাত থেকে এই উপবৃত্তি দেয়া হবে। ফলে আর প্রকল্প সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম থাকবে না।
তিনি জানান, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর কাছে টাকা পৌঁছানো। তবে এর কিছু কমও হতে পারে।

Collected from jugantor