Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
ডিজিটালাইজেশনের অভাবে পাঠকশূন্য জবির ই-লাইব্রেরি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চার জন্য ২০১৫ সালে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের ই-লাইব্রেরি করার উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু প্রতিষ্ঠার সাত বছর পেরোলেও আধুনিকতার মুখ দেখেনি ই-লাইব্রেরি।
সেখানে নেই পর্যাপ্ত সংখ্যক ই-বুক ও জার্নাল। একাধিকবার অটোমেশন অ্যান্ড ডিজিটালাইজেশনসহ অন্যান্য প্রস্তাবনা হাতে নিলেও তা সফল হয়নি। এ ছাড়াও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অধিকাংশ ল্যাপটপ। ফলে পাঠকশূন্য হয়ে পড়েছে জবির ই-লাইব্রেরি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ উদ্বোধন হয় জবির ই-লাইব্রেরি। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ যাবৎ মোট ই-বুক আছে এক লাখ ৬৬ হাজার এবং ই-জার্নালের সংখ্যা ৪৬ হাজার। এসব ই-বুক ব্যবহারের মেয়াদ আছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। এর আগে লাইব্রেরিটি অটোমেশন অ্যান্ড ডিজিটালাইজেশন করতে পর পর দুটি ডিজিটালাইজেশন কমিটি গঠন করা হয়। তবে এ কমিটিতে কাজের অগ্রগতি তেমন কিছুই হয়নি। কমিটির দাবি, অটোমেশন অ্যান্ড ডিজিটালাইজেশনের চূড়ান্ত প্রস্তাবনা দিলেও পরবর্তীতে বাজেটের অভাবে কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
এদিকে ই-লাইব্রেরিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১০০টি ল্যাপটপের মধ্যে ২০টি পুরোপুরি অকেজো, বাকিগুলোর মধ্যেও অধিকাংশের বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক ক্রটি রয়েছে। যেসব ল্যাপটপ ভালো আছে সেগুলোও স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যায় না।
গত তিন বছরে ই-লাইব্রেরিতে আসা শিক্ষার্থীদের তালিকা রয়েছে মাত্র দুই মাসের। এ বছরের মার্চে ৫৮ এবং ফেব্রুয়ারিতে ৬ জন শিক্ষার্থী লাইব্রেরিতে আসার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষার্থী ই-লাইব্রেরি ব্যবহারের নিয়ম জনেন না বলে জানা গেছে। যারা আসেন তাদের অধিকাংশই ল্যাপটপে ব্যক্তিগত কাজ সেরে চলে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অঞ্জনা রায় বলেন, ‘ই-লাইব্রেরি মানেই চাহিদামতো সব বই পাওয়া যাবে, বই পেতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে না। কিন্তু আমাদের এখানে চাহিদামতো বই পাওয়া যায় না। ই-লাইব্রেরি বিশ্বের বিভিন্ন লাইব্রেরির সঙ্গে যুক্ত থাকলে বেশি বই পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়, কিন্তু আমাদের এ সুবিধা নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ‘বর্তমান সময়ে অবশ্যই কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিকে অটোমেশন অ্যান্ড ডিজিটালাইজেশন করা জরুরি। এদিকটায় আমরা পিছিয়ে আছি। খুব দ্রুতই এটা বাস্তবায়ন করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণাকাজ সহজ হবে। পাশাপাশি লাইব্রেরিকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবান্ধব করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।’
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিয়ান এনামুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। খুব দ্রুতই সুফল মিলবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, ‘ই-লাইব্রেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এতদিনে যা হয়নি, এখন সব হবে। আমরা কাজ করছি।’
Collected from kalbela



Do you Need Any Help?