Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
প্রাইমারিতে চাকরি পেতে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ! নিয়োগ না পাওয়ায় মাথায় হাত বধূর

#বীরভূম: মাসে ৭০০০ টাকা বেতন, প্রাইমারি স্কুলে চাকরি! তবে এই চাকরির জন্য দিতে হবে দু'লক্ষ টাকা। এমনই প্রলোভনে পা দিয়ে মাথায় হাত বীরভূমের বোলপুরের সিয়ান এলাকার এক চাকরিপ্রার্থীর। কারণ মাস কয়েক আগে তিনি ওই টাকা দিয়ে এখনও চাকরি পাননি, আবার টাকা ফেরতও পাননি। এখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই চাকরিপ্রার্থী তার দেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি তুলেছেন এবং চাকরি করতে হলে যোগ্যতা অনুযায়ী নিযুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, বোলপুরের সুস্মিতা ঘোষ নামে এক গৃহবধুর সঙ্গে। ওই গৃহবধূর দাবি, মার্চ মাসে কলেজের এক বান্ধবী রাওসানারা খাতুন, যার বাড়ি নলহাটির কইথায়, তাকে ফোন করেন এবং এই চাকরির কথা জানান। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সুস্মিতা ঘোষ চাকরির কথা শুনে একপ্রকার রাজি হয়ে যান এবং টাকা ধাপে ধাপে দেওয়া শুরু করেন। তিনি প্রথমে ফর্ম ফিলাপ করার জন্য ৫২০০ টাকা দেন। এই টাকার পরিবর্তে যে রিসিভ কপি দেওয়া হয় তা ৩০০০ টাকার। এরপর ধাপে ধাপে দু-লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হয় ওই গৃহবধূর বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এবং ৪০০০০ টাকা তিনি দেন তার স্বামীর অ্যাকাউন্ট থেকে। ৫২০০ টাকা বাদে বাকি সব টাকাি নগদে লেনদেন হয়। দেড় লক্ষ টাকা তার বাড়ি থেকেই অভিযুক্তরা নিয়ে যান এবং ৪০ হাজার টাকা সুস্মিতা ঘোষ নলহাটিতে রাওসানারা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে কার্তিক দাস নামে এক ব্যক্তির হাতে তুলে দেন বলে অভিযোগ। কার্তিক দাস নলহাটির কলিঠা গ্রামের বাসিন্দা। এই দু'জন সুস্মিতা ঘোষের পূর্ব পরিচিত।
অভিযোগকারীর অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরেও চাকরি পাননি সুস্মিতা ঘোষ। টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য বারবার তাদের ফোন করলে কার্তিক দাস তাঁকে অপেক্ষা করার কথা বলেন। অন্যদিকে, রাওসানারা খাতুন তাঁকে  হুমকি দিচ্ছে বলে দাবি। জানা গিয়েছে, কোনও একটি সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ করার জন্য সুস্মিতা ঘোষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু তা না হওয়ায় সুস্মিতা উকিল মারফত তাদের দু'জনকে নোটিশ পাঠিয়েছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত দু'জনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে কেউই নিজেদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের কথা স্বীকার করেননি।
Collected from news18