চীনে ফক্সকনের কারখানা ছাড়ছে ২০ হাজার নতুন কর্মী!
চীনের ঝেংঝুতে অ্যাপলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফক্সকনের নতুন ২০ হাজার কর্মীর বেশিরভাগই এখনো উৎপাদন কাজে যোগ দেননি। আজ শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটি সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
কভিড-১৯ বিধিনিষেধ নিয়ে কড়াকড়িতে ফক্সকনে কর্মী অসন্তোষ দেখা দেয়। এর ফলে আইফোন উৎপাদন হ্রাস পায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী ক্রিসমাস ও নববর্ষে আইফোনের বাজারে সংকট দেখা দেবে।
মার্কিন কোম্পানির জনপ্রিয় আইফোন ১৪ মডেলের ফোন ঝেংঝুতে কারখানায় উৎপাদন হয়। এখন অ্যাপলের পণ্য সরবরাহ ঝুঁকিতে পড়েছে।
তবে এ বিষয়ে ফক্সকন আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। অ্যাপল জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবারও তাদের কারখানায় জনবল ছিল। কিন্তু আজ শুক্রবার মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় অ্যাপল।
কর্মীদের অভিযোগ, কভিড-১৯ আক্রান্ত সহকর্মীদের সঙ্গে তাদের একই ডরমিটরিতে রাখা হয়েছে। তাদের দাবি, বিশ্বে ৭০ শতাংশ আইফোনের যোগান তারা দিলেও কোম্পানি থেকে বেতনভাতা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ফক্সকন জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে যারা চাকরি ছাড়তে চান তাদের ১ হাজার ৯২৩ ডলার দেয়া হবে। একইসঙ্গে নিয়োগের সময় বেতনসংক্রান্ত যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, তাতে ‘কৌশলগত ত্রুটি’ হয়েছে বলে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে।
এদিকে আজ শুক্রবার ফক্সকনকর্মীদের ব্যাগ-লাগেজ নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা জানায়, এখনই বাড়ি ফেরার উপযুক্ত সময়।
ফক্সকনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরেকটি সূত্র জানায়, নতুন চাকরিপাওয়াদের মধ্যে কেউ কেউ কারখানা ছাড়লেও ঠিক কতজন ছাড়ছে তা বলা যাবে না। কিন্তু এর ফলে উৎপাদনে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ নতুন কর্মীদের উৎপাদনে আসার আগে কোর্স ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পড়ে।
সূত্রটি আরো জানায়, এই ঘটনা কোম্পানির ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেললেও এর উৎপাদনে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। শুধু সহযোগিতার মাধ্যমে এই মহামারীকালীন সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। এটি একটি সাময়িক সমস্যা। যা প্রত্যেকে মোকাবেলা করছে। গত মে মাসে অ্যাপেলর আরেক সরবরাহকারী কোয়ান্টাও কভিডের কারণে অস্থিরতায় পড়েছিল।
চীনে করোনার রেকর্ড প্রাদুর্ভাব ও লকডাউন বাড়ানোর ফলে সারাদেশে নাগরিকদের মধ্যে হতাশা বাড়ে। ফলস্বরূপ ফক্সকনের সঙ্গে কর্মীদের যোগাযোগ সমস্যা ও অনাস্থা দেখা দেয়। এ মাসে ফক্সকন উন্নত বোনাস ও বেতনের আশ্বাসে নতুন কর্মী নিয়োগ শুরু করেছিল। এর আগে অক্টোবরে কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে অনেক কর্মীকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। কাউকে কাউকে কোম্পানি থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়।
Collected from bonikbarta