শুধু চাকরির জন্য উচ্চশিক্ষা নয়: উপাচার্য মশিউর রহমান
উচ্চশিক্ষা শুধু চাকরি নয়, সমাজের দর্শন তৈরি করে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা আমাদের শুদ্ধতা শেখাবে। সমাজের মধ্যে উন্নত মানস গঠনে ভূমিকা রাখবে। উচ্চশিক্ষা আলো ছড়াবে। শুধু চাকরি দেয়ার জন্য উচ্চশিক্ষা, এটি ভুল ধারণা। উচ্চশিক্ষা সমাজের দর্শন তৈরি করে।
আজ বুধবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজের অডিটোরিয়ামে ‘মডেল কলেজ প্রকল্প ও পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
দেশের উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, খুব শিগগিরই আমরা আইসিটি, সফ্টস্কিল, ল্যাংগুয়েজসহ বিভিন্ন কর্মমুখী এমবেডেড কোর্স চালু করতে যাচ্ছি। যেখানে ডিগ্রি, অনার্স, মাস্টার্স পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থী এসব কোর্স করতে পারবে। কিন্তু এই সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মানসম্পন্ন শিক্ষায় রূপান্তর করতে হলে এর প্রধান কারিগর শিক্ষক। কিন্তু সেই মাত্রার শিক্ষক যদি তৈরি না হয়, তাহলে এসব বাস্তবায়ন কঠিন। আমাদের প্রশাসনিক কাঠামোতেও শিক্ষকদের না পাওয়ার বিষয় আছে। প্রশাসনিক বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসে চাকরির শুরুতেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু শিক্ষকতায় নেই। তারপরও পরিবর্তনের দায়-দায়িত্ব এবং নেতৃত্ব শিক্ষকদের নিতে হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের যেসকল তরুণ শিক্ষক উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাবেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তার পাশে দাঁড়াবে। গবেষণায় যতো টাকা লাগবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেই টাকা দেবে। কিন্তু আমি চাই মানসম্পন্ন গবেষণা প্রস্তাবনা। যতো ভালো পাবলিকেশন্স লাগবে সেটিও আমরা ব্যবস্থা করবো। শিক্ষকদের ভালো বই না থাকলেও আমরা বিদেশ থেকে সেটি এনে দেবো। বই লেখায় যদি বাজেট বৃদ্ধি করা লাগে সেটি আমরা করবো। পরীক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন, গবেষণা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের হাতে ভালো বই তুলে দেয়া- এসব বিষয় আমাদের সর্বোচ্চ আগ্রাধিকার থাকবে।
কর্মশালায় কুষ্টিয়া অঞ্চলের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত চারটি কলেজের ১০০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। তারা পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেন। এছাড়া পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়নসহ উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ তুলে ধরেন।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ মো. ছাদিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, আইসিটি দপ্তরের পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম, কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দপ্তরের পরিচালক রফিকুল আকবর, ভাইস-চ্যান্সেলর দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, খলিসাকুন্ডী কলেজের অধ্যক্ষ মো. নাজমুল হক, ড. মো. ফজলুল হক গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ নাসরিন আফরোজ, পিপলস কলেজের উপাধ্যক্ষ আবু সাঈদ মো. আজমল হোসেন কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন।
Collected from bonikbarta