বহু কর্মীর চাকরি গেলেও এই মহিলাকে কেন ছাঁটাই করতে পারবেন না মাস্ক?
দায়িত্ব নেয়ার পর টুইটারের কর্মীসংখ্যা একধাক্কায় অনেকটা কমিয়েছেন ইলন মাস্ক। চাকরি হারিয়েছেন টুইটারের বহু কর্মী। এমন অবস্থায় চাকরি যাওয়া আটকাতে অভিনব পদক্ষেপ করলেন আয়ারল্যান্ডের এক কর্মী। যার জেরে আপাতত তার চাকরি কাড়তে পারবেন না মাস্ক। ব্যাপারটা কী?
আয়ারল্যান্ডের টুইটার অফিসের অভিজ্ঞ কর্মী সাইনেড ম্যাকসুইনি। টুইটারের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন তিনি। টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না তার। চাকরি যাওয়ার আশঙ্কায় সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। ম্যাকসুইনির আরজিতে সাড়া দিয়ে চাকরি যাওয়ার উপর ইনজাঙ্কশন জারি করেছে হাই কোর্ট। অর্থাৎ এখনই তার চাকরি কাড়তে পারবেন না মাস্ক।
জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতেই মাস্ক টুইটারের সকল কর্মীকে একটি ইমেল পাঠান। কিন্তু তার জবাব দেননি ম্যাকসুইনি। এরপর থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। হাবেভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয় ম্যাকসুইনি আর টুইটারের কর্মী নন। ডাবলিনের অফিসে ঢুকতে বাধা দেয়া হয় তাকে। বন্ধ করে দেয়া তার ইন্টারনাল আইটি সিস্টেম। এমনকী তার অফিসিয়াল ইমেল আইডিও বন্ধ করে দেয়া হয়। জানানো হয়, চাকরি ছাড়ার জন্য আর্থিক চুক্তিও নাকি মেনে নিয়েছেন ম্যাকসুইনি। এর প্রতিবাদে তড়িঘড়ি আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
আদালতে ওই কর্মী জানিয়েছেন, মাস্কের আমলে টুইটারে কাজ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। চুক্তিতে বলা হয়েছিল সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে তাকে। কিন্তু ৭৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কাজ করতে হচ্ছে তাকে। আদালতে টুইটার অবশ্য জানিয়েছে, ম্যাকসুইনির কর্মদক্ষতা, দায়িত্ববোধ নিয়ে কোনও প্রশ্নের স্থান নেই। এরপরই আদালত ইনজাঙ্কশন জারি করে টুইটার কর্মীকে ছাঁটাই প্রাথমিকভাবে রুখে দিয়েছে। সূত্র: ডেইলি মেইল।
Collected from dailyinqilab