পঞ্চগড়ে চাকরি মেলা প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র ও ল্যাপটপ বিতরণ
পঞ্চগড়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এলইডিপি) প্রকল্প লট-১ এর আওতায় চাকরি মেলা ও প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র এবং ল্যাপটপ বিতরণ করা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে স্থানীয় সরকারি অডিটোরিয়াম চত্বরে এ মেলার আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ব্যাচের সেরা সাত প্রশিক্ষণার্থীকে একটি করে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়।
প্রকল্পটির পরিচালক উপসচিব হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপসচিব আজাদ জাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, বক্তব্য দেন।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অধীনে প্রায় চার মাসের প্রশিক্ষণে মোট ২০০ ঘণ্টার ৫০টি ক্লাস করেন প্রশিক্ষণার্থীরা। এতে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী বিশ্বের বিভিন্ন মার্কেট প্লেস থেকে নিয়মিত বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন। তাদের মধ্যে পঞ্চগড়ের ১২টি ব্যাচের ২৪০ জন এবং ঠাকুরগাওয়ের ১৮টি ব্যাচের ৩৬০ জনকে এই সনদপত্র প্রদান করা হয়। সনদপত্রের সাথে ল্যাপটপ পুরষ্কার পাওয়া সেরা সাত প্রশিক্ষণার্থী হলেন, জান্নাতুন নাহার, নীলঞ্জনা দেব, মারজান সুলতান চৌধুরী, মো. রাকিবুল ইসলাম, মোতালেব মিয়া, রেজু ইসলাম এবং মোছা. আসমা। অনুষ্ঠান চলাকালীন বিভিন্ন স্টলে ফ্রিলান্সার গ্রুপ ও স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি আইটি সেক্টরের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্য থেকে চাকরির জন্য জীবন বৃত্তান্ত (বায়োডাটা) গ্রহণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রথম পদক্ষেপ নেয়। শুরুতে অনেকে ঠাট্টা করেছিল। তবে আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন নয়, বাস্তব।
২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার এ খাত থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে দেশের ফ্রিলান্সাররা নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছেন। দক্ষ যুব সমাজ তৈরির ফলে এখন আর চাকরির পেছনে ছুটতে হয় না, উল্টো চাকরি ওয়ালারা তাদের দুয়ারে চাকরি নিয়ে হাজির হচ্ছেন।