কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে সহজ অর্থায়ন ব্যবস্থা চায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
সোমবার স্ট্যান্ডিং কমিটি অন সিএমএসএমই অ্যান্ড রুরাল ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্টের প্রথম সভায় এ কথা জানান এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী।
তিনি বলেন, সিএমএসএমই খাতবান্ধব ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করা গেলে প্রান্তিক উদ্যোক্তারা খুব সহজেই সেখান থেকে ঋণ নিতে পারবেন। এ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সরকারি প্রণোদনার অর্থও প্রদান করা যেতে পারে।
কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা যেসব পণ্য তৈরি করেন, সেসব পণ্য বেশকিছু বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানও উৎপাদন করছে। এতে করে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না প্রান্তিক উদ্যোক্তারা। এমন পরিস্থিতিতে বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী কী ধরনের পণ্য উৎপাদন করতে পারবে, আর কোন কোন পণ্য উৎপাদন করতে পারবে না, সে বিষয়ে নীতিমালা হওয়া জরুরি বলে জানান মো. আমিন হেলালী।
সভায় এফবিসিসিআইয়ের আরেক সহসভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভোক্তাদের রুচির পরিবর্তন ঘটছে। তার সঙ্গে মিল রেখে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদেরও পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। এ জন্য গবেষণা ও উন্নয়নে জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এর পাশাপাশি ব্যাংকঋণ পেতে প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের ন্যূনতম ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্টের দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ দেন হাবীব উল্লাহ ডন।
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ ও সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ বলেন, সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ হলো উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ। এ বিষয়ে এফবিসিসিআইসহ সরকারের সহযোগিতা চান তিনি।
কোভিড-পরবর্তী ধাক্কা এবং ইউক্রেন সংকটের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগগুলোর জন্য আরও সরকারি অর্থসহায়তা দরকার বলে জানান কমিটির চেয়ারম্যান মির্জা নুরুল গনি শোভন। বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের মত অন্যান্য ব্যাংকেও এসএমই খাতের জন্য সেবা চালুর আহ্বান জানান তিনি।
সিএমএসএমই খাতের জন্য অর্থায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং সহজলভ্য করার দাবি তোলেন কমিটির অন্যান্য সদস্য। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হাফেজ হারুন, আবু হোসেন ভূঁইয়া (রানু), সাবেক পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন, এসএমই ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তা ও ক্লাস্টার উন্নয়ন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান, কমিটির কো-চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান, কেএম জহির ফারুক, খলিলুজ জামানসহ অন্যান্য সদস্য।