Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
বিশ্বজুড়ে পরিবর্তন আসছে ব্যবসার পরিবেশে, শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান


দেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরির কাজ করছে এন্ট্রাপ্রেনারস অর্গানাইজেশন (ইও)। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পর্বের সপ্তম জিএসইএ গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আমন্ত্রিতরা জানিয়েছেন, ‘শিক্ষার্থীদের শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বিশ্বজুড়ে ব্যবসার পরিবেশে পরিবর্তন আসছে। তরুণ উদ্যোক্তাদের হাত ধরে বদলে যাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট।’

শুক্রবার (২০ জানুযারি) ঢাকায় ওয়েস্টিন হোটেলে ইও বাংলাদেশ গ্লোবাল স্টুডেন্ট এন্ট্রাপ্রেনার অ্যাওয়ার্ড-(জিএসইএ) ২০২২-২৩-এর বাংলাদেশ পর্ব আয়োজন করে। এই আয়োজনে অংশ নিয়ে বিশিষ্টজনেরা এসব কথা উল্লেখ করেন।

বিজয়ীরা দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন
সপ্তম জিএসইএ  গ্র্যান্ড ফাইনালে প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েটের) শিক্ষার্থী কায়সার আহমেদ। দ্বিতীয় হয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাফাত জামিল এবং তৃতীয় হয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সারোয়ার জাহান। বিজয়ীরা দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

বাংলাদেশ পর্বের এই গ্র্যান্ড ফাইনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, উদ্যোক্তা সংগঠনের বোর্ড অব ডিরেক্টর মি. মার্ক ও. স্টকলি, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের এমডি সামি আহমেদ, আইডিইএ’র প্রকল্প পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন এবং দক্ষিণ এশিয়ান চেয়ার সঞ্জয় ঝুনঝুনওয়ালা। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক কাজী ইনাম আহমেদ।

বিচারক প্যানেলে ছিলেন– গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সিইও ফারজানাহ চৌধুরী, ইও বাংলাদেশ সদস্য শামীম আহসান ও শামীম আহসান, এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, আইডিইএ প্রজেক্টসের সিনিয়র কনসালটেন্ট অপারেশন বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ গোস্বামী এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের সিইও কায়সার হামিদ।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘উদ্যোক্তা তৈরিতে গ্লোবাল স্টুডেন্ট এন্ট্রাপ্রেনার অ্যাওয়ার্ড প্রদান স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।  আমরা ভালো শিখি, ভালো ডিগ্রি অর্জন করি, কিন্তু সেটির অ্যাপলিকেশন (প্রয়োগ) নেই। সফট স্কিলে বড় ঘাটতি আছে। এই শেখার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা চিন্তা করতে শিখবে। অন্য অনেকের সঙ্গে কাজ করতে শিখবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাই, কিন্তু তাদের যদি উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দিতে না পারি, পর্যাপ্ত দক্ষ না করতে পারি তাহলে কীভাবে তারা উদ্যোক্তা হবে? এ জন্য আমরা আউটকাম বেইজড এডুকেশন ব্যবস্থা তৈরি চেষ্টা করছি। আমরা শিক্ষার্থীদের এমন শিক্ষা দিতে চাই যা বর্তমান যুগে উপযোগিতা আছে, চাকরির বাজারে চাহিদা আছে। যা এর আগে হয়নি। ’
Collected From Banglatribune