সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে
জাতীয় সংসদে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল, ২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে। তা পাস হলে স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা নির্ধারণের ক্ষমতা অর্থ বিভাগের হাতে আসবে।
বিলটি পাস হলে স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তারে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নিতে হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। পরে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৩০ দিনের সময় দিয়ে সংসদীয় কমিটিতে পাঠান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ বলেন, “সরকারি চাকরি আইনে স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতাদি নির্ধারণের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের করণীয় সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তাই সরকারি চাকরি আইনের বেতন-ভাতা নির্ধারণ-সংক্রান্ত বিধান সংশোধন প্রয়োজন।”
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যয়েও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি লাগবে
সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি: আপিল করবে সরকার
২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ১৫, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪ ও ৪৫ ধারার বিধান ‘স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মচারীর জন্য প্রযোজ্য হবে’।
বিলের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, সরকার, সরকারি গেজেটে আদেশ দ্বারা, কোনো সরকারি কর্মচারীর বা সকল সরকারি কর্মচারির বা সরকারি কর্মচারিদের কোনো অংশের জন্য বেতন, ভাতা, বেতনের গ্রেড বা স্কেল, অন্যান্য সুবিধা ও প্রাপ্যতা বা অবসর সুবিধা সম্পর্কিত শর্তাদি নির্ধারণ করতে পারবে।
৪১ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারির দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে তাকে গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।
৪২ ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর ফৌজদারি মামলায় এক বছরের বেশি সাজা হলে আদালতের রায়ের দিন চাকরি থেকে বরখাস্ত হবেন।
Collected from bdnews24