Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
বেসরকারি ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসকদের পাঠানো পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সই করা অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। 


অফিস আদেশ সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পত্র দেয়।


মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা শাখার পত্রে জানা গেছে, রহিমুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি কক্সবাজার জেলার সোনারপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষককে এমপিওভুক্ত না করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার নান্দাইল কলেজের ৫ জন প্রভাষকের দ্বিতীয় সিনিয়র স্কেলের ফাইল এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী পাঠানোর জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অভিযোগ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগটি পাঠায়। মিরপুরের হযরত শাহ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়। এসব বিষয়ে মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ৩ জুন ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২০’ পরীক্ষায় ভোলার সদর উপজেলার হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব ও প্রধান শিক্ষক টিপু সুলতান ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে অসহযোগিতা ও অনিয়ম করেন। এতে পরীক্ষা কেন্দ্রে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা মোকাবিলা করতে প্রশাসনের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রসচিবের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বেলকুচি উপজেলার সোহাগপুর নতুন পাড়া এএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাঠান। অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিতু রানী গৌড় ও স্বামী রতন কুমার গৌড়ের পুত্র রৌদ্র গৌড় বিশালকে বিদ্যালয় ত্যাগের ছাড়পত্র দেয়নি।  মিতু রানীর অভিযোগ সহকারী কমিশনার পরাগ সাহা সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। আর ছাড়পত্র না দেওয়ার ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটির একচেটিয়া সিদ্ধান্তের পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক মেহেদী মাসুদের যোগসাজশ রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরকে। 

এছাড়া মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসকের পাঠানো অভিযোগে জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ জেলায় প্রভাষক থেকে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বাছাইয়ের জন্য গঠিত কমিটির দুই জন সদস্য মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। ফলে প্রভাষক থেকে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বাছাই কমিটির কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মহাপরিচালককে নির্দেশনা দেওয়া হয়।  
Collected From Banglatribune



Do you Need Any Help?