Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
চাকরির অপেক্ষায় ২০ লাখের বেশি শিক্ষিত বেকার

এইচএসসি ও এসএসসি পাস বেকারের সংখ্যা ১৬ লাখের বেশি। করোনায় স্কুল-কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরীক্ষার পর খাতা দেখে প্রার্থী কে বাছাই করবে তা চূড়ান্ত হয়নি। নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত ব্যয় অনুমোদন হচ্ছে না। এছাড়া নিয়োগবিধি চূড়ান্ত না হওয়া, মামলা, প্রশাসনিক জটিলতাসহ যোগ্য প্রার্থীর অভাবেও অনেক পদে নিয়োগ আটকে আছে।

গত জানুয়ারিতে ৪১তম বিসিএসে চার লাখ ৭৫ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করে বসে আছেন। কবে পরীক্ষা হবে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। ব্যবসার অবস্থা ভালো না হওয়ায় বেসরকারি পর্যায়ে নিয়োগ বন্ধ, উল্টো অনেক প্রতিষ্ঠান ছাঁটাই করছে। এরা বেকারের তালিকাভুক্ত হচ্ছে।

গত ২৯ জুলাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৩ সালে সরকারি চাকরিতে মোট পদের ১৮ দশমিক ৮০ শতাংশ শূন্য ছিল। ২০১৮ সালে তা বেড়ে ২১ দশমিক ২৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে ১৮ লাখ ২১ হাজার ২৮৪টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ জন কর্মরত আছেন।

ফলে শূন্য পদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮। শূন্য পদগুলোর মধ্যে ৫০ হাজার ৯৩০টি প্রথম শ্রেণির, ৫৫ হাজার ৪৫৭টি দ্বিতীয় শ্রেণির, এক লাখ ৮৮ হাজার ৩৭৭টি তৃতীয় শ্রেণির এবং চতুর্থ শ্রেণির পদ ৯২ হাজার ৫৭৪টি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিপুলসংখ্যক পদের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী বলছে, স্বীকৃত সংজ্ঞা অনুযায়ী দেশে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেকার ছিল প্রায় ২৭ লাখ।

এদের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষিত, বাকিরা শিক্ষাবঞ্চিত। কর্মসংস্থান বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সর্বশেষ বৈশ্বিক প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছর বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ৩০ লাখে উঠতে পারে। বেকারত্বের হারের বিচারে দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয়।  

Collection From Deshbarta news