Facebook Youtube Twitter LinkedIn
...
অবশেষে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু

অবশেষে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (২০ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে প্রথম ব্যাচের ৯০ জন শিক্ষার্থীকে বরণ করে নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এছাড়া বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. দিল আফরোজ বেগম, ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. হাবিবুর রহমান, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নাসিম আখতারসহ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথম ব্যাচে তিনটি বিভাগে ৯০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষায় এই ইউনিটে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৩০ জন, ‘বি’ ইউনিটে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগে ৩০ জন এবং ‘সি‘ ইউনিটে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির তৎপরতায় ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। প্রযুক্তি শিক্ষায় বিশ্বের সাথে সমতা অর্জন, জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও আধুনিক জ্ঞান চর্চা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া, পঠন-পাঠন ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সংসদে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিল পাস হয়। তবে গেজেট প্রকাশের তারিখে অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

এদিকে নিয়োগের পর ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন শুরু করেন অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে ৬২ একর জমি প্রস্তাব করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা লোপাটের চেষ্টা করেন লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বিতর্কিত ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানসহ প্রভাবশালী একটি চক্র। কিন্তু সাবেক জেলা প্রশাসক, জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের তৎপরতার কারণে এবং উচ্চ আদালতের রায়ে সেই প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়। উচ্চ আদালত সেলিম খান ও তার দুই সহযোগীকে এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন। 


এরপর নানা নাটকীয়তার পর গত বছরের আগস্ট মাসে অস্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য বাড়ি ভাড়া চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনেকটা গোপনেই চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে পৌর এলাকার খলিসাঢুলিতে বহুতল ভবন ভাড়া নেওয়া হয় কয়েক মাস আগে।

Collected From Banglatribune



Do you Need Any Help?