অভ্যন্তরীণ নৌযানের প্রথম শ্রেণির মাস্টারশিপ পরীক্ষায় মোট ৭১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর মতিঝিলের গাউছে পাক ভবনে অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষা শেষে দুপুরে তাদের চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রবিবার (২৮ মে) সকালে একই ভবনে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় ২৭৬ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ ১৪৪ জনের এদিন মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ৭১ জনকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ঘোষণা করেন।
নৌ পরিবহন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামী মঙ্গলবার (৩০ মে) গাউছে পাক ভবনে দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টারশিপের শুধু মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই শ্রেণির লিখিত পরীক্ষা আগেই নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বুধবার (৩১ মে) একই স্থানে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় শ্রেণির মাস্টারশিপের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা।
দেশের অভ্যন্তরে সব ধরনের নৌযান পরিচালনায় মাস্টার (সারেং) ও ড্রাইভারের (ইঞ্জিনচালক) যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা নেওয়া হয়। এজন্য নৌ পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক আলাদা আলাদা বোর্ড গঠন করেন।
মাস্টারশিপ পরীক্ষা বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন অধিদফতরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার (চলতি দায়িত্বে) ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহমদ। আর ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে একই সংস্থার ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মনজুরুল কবিরকে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নৌ পরিবহন অধিদফতরের অধীনে গঠিত আলাদা দুটি বোর্ডের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে তিন শ্রেণির মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সারা বছরই নেওয়া হয় এ পরীক্ষা। ২০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে ২০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মধ্যে ১০টির সঠিক উত্তর দিতে পারলে পরীক্ষা বোর্ড তাকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করে। এরপর নেওয়া হয় ১০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা। সেখানে পাশ নম্বর ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৫ বা মোট নম্বরের ৫০ শতাংশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, একজন প্রার্থী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা মিলিয়ে সর্বনিম্ন ১৫ নম্বর পেলে তাকে পরীক্ষা বোর্ড উত্তীর্ণ ঘোষণা এবং অধিদফতর সনদ দেয়। তবে অধিদফতরের সর্বশেষ অফিস আদেশ অনুযায়ী, একজন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষয় অকৃতকার্য হলেও তিনি যদি শুধু লিখিত পরীক্ষায় ১৫ নম্বর পান তাকেও উত্তীর্ণ ঘোষণা করতে পারে পরীক্ষা বোর্ড। এমন বিতর্কিত আদেশের ফলে মৌখিক পরীক্ষাকে গুরুত্বহীন করা হয়েছে বলে নৌ খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
Collected From Banglatribune