ব্যাংক নাকি বিসিএসের প্রস্তুতি নেবেন
07/09/2022
903 Views
তা ছাড়া কেউ যদি বিসিএসে প্রিলিমিনারি, লিখিত, ভাইভা পাস করার পরও কোনো ক্যাডার না পান, তাহলে তাঁদের জন্য নন-ক্যাডারে চাকরি হওয়ার সুযোগ আছে, যেমন ৩৩তম, ৩৪তম ও ৩৫তম বিসিএস থেকে অনেকে নন-ক্যাডারে ভালো চাকরি পেয়েছেন।
ব্যাংক না বিসিএস
ব্যাংকে চাকরি পেতে হলে গণিত ও ইংরেজিতে দক্ষ হতে হয়। এখন প্রশ্ন হলো, আপনি কেন ব্যাংক বা পিএসসির নন-ক্যাডারের প্রস্তুতি বাদ দিয়ে কেবল বিসিএসের প্রস্তুতি নেবেন? আমি বলল, হ্যাঁ নেবেন। কারণ, ওই যে বললাম ‘বিসিএসের প্রস্তুতি নিলে একসঙ্গে অনেক চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতিই হয়ে যায়।’ তবে ব্যাংকের জন্য গণিত ও ইংরেজিতে একটু আলাদা প্রস্তুতি নিলেই আর কোনো চিন্তা থাকবে না। আসুন আমার নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করছি–
আমি মূলত বিসিএসের প্রস্তুতি নিয়ে পূবালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে চাকরি করেছি। আমি ব্যাংকের জন্য অতিরিক্ত শুধু English Version-এর ম্যাথ, Saifur's Analogy এবং ICT-এর ওপর একটু ভালোভাবে পড়াশোনা করেছি। আর English Vocabulary-এর ওপর বেশি জোর দিয়েছি (মূলত Saifur's Vocabulary-টা শেষ করেছিলাম)। পরে ৩৫তম বিসিএস ক্যাডার পেয়েছি। যদিও ৩৪তম বিসিএস ছিল প্রথম বিসিএস, সেখানে নন-ক্যাডারে নিয়োগে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলাম আর ৩৫তম ছিল আমার দ্বিতীয় বিসিএস।)
নন-ক্যাডারের জন্য আপনাকে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে
হবে না।
২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বাতিল হয়ে যাওয়াতে ‘কোটাবিহীন বিসিএস’ প্রার্থীর বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে। আবার বিসিএস প্রিলিমিনারি, লিখিত, ভাইভা পাস করলে ক্যাডার না পেলে অন্তত একটা ফার্স্ট ক্লাস বা সেকেন্ড ক্লাস নন-ক্যাডার পেয়ে যেতে পারেন। (আগে এই ক্ষেত্রেও কোটা প্রয়োগ করা হতো, এখন আর কোটা প্রয়োগ হবে না!)
ব্যাংকের জবের জন্য বেশি পেরেশান হতে হবে না।
Collected From ajkerpatrika