ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় করণীয়?
23/08/2022
1158 Views
নিজেকে মূল্যায়ন
সবসময় নিজেকে মূল্যায়ন করুন। স্কুল কলেজ ভার্সিটি এমনকি চাকরি পাওয়ার পরও নিজে কি জানেন বা জানেন না তার একটি লিস্ট করুন।
যখন অবসর সময় যাপন করছেন তখন খেয়াল করুন আপনার শখ কি কি বা আপনার কোন ধরণের দক্ষতা আছে? যদি শখ গুলো প্রোডাক্টিভ হয়ে থাকে তাহলে চেষ্টা করুন ওইটার মাধ্যমেই ক্যারিয়ারে কিছু করার। কেননা, নিজের পছন্দের জিনিসকে যখন ক্যারিয়ার হিসেবে গণ্য করা হয় তখন সেটার সফলতার পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। আজ যদি আপনি ব্যাংকে চাকরি করেন কিন্ত ব্যবসা করতে ভালোবাসেন ,তাহলে ব্যবসাকে আস্তে আস্তে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে শুরু করুন। এতে আপনার ইচ্ছার ও বাস্তবায়ন হচ্ছে আবার ক্যারিয়ারের ও লাভ হচ্ছে। অপরদিকে আপনি যদি শিক্ষার্থী হোন তাহলে আপনার যদি লং টার্ম পরিকল্পনা না থাকে তাহলে আপনার যেই বিষয়ে দক্ষতা আছে সেটি নিয়ে কাজ করুন। এর মাধ্যমে আপনার যে লং টার্ম পরিকল্পনা নেই সেই চিন্তা কিছুটা হলেও কমবে। আর যদি কিছু না ই জানেন তাহলে নতুন কিছু শিখুন। এতে করে অন্যদের চেয়ে নিজের সাথে নিজের প্রতিযোগীতা বাড়ার মাধ্যমে ক্যারিয়ারে একটি পরিকল্পনার ধারণা করতে পারবেন।
বার্ষিক পরিকল্পনা করা
আগেই বলেছি ক্যারিয়ার পরিকল্পনা স্থিতিশীল কিছু নয়। আমাদের অভিজ্ঞতা, বয়স পরিবর্তনের সাথে সাথে খারাপ,ভালো, ইচ্ছা, আকাঙ্খার ও পরিবর্তন হতে দেখা যায়। এরজন্য প্রতিবছর ক্যারিয়ার প্ল্যানিং করুন। এসময় আশেপাশের চিন্তাধারা দূরে রেখে নিজে কি চান সেটা নিয়ে ভাবুন। এতে করে নিজেকে অনেক নিরাপদ ও নিশ্চিত মনে করবেন।
গবেষণা করা
আমার পূর্বের ধাপগুলো দেখে মনে হতে পারে যে , মন যেটা চায় সেটার ভিত্তি করেই প্ল্যানিং এর কথা বলছি। আসলে বিষয়টি তা নয়। আপনি চাকরির পূর্বে নিজের ইচ্ছার উপর ভিত্তি করে গবেষণা করুন, দেখা যাবে এই গবেষণার মাধ্যমে অবশ্যই আপনার ইন্টারেস্টের লাভজনক উপায় বের হয়ে আসছে।
গবেষণার ক্ষেত্রে নিজেকে ভবিষ্যতের আয়নায় দেখুন। দেখবেন ইচ্ছার পরিবর্তন হোক বা না হোক এই গবেষণা আপনার ভবিষ্যত ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলবেই। মূলত নিজেকে কোথায় কিভাবে দেখতে চান সেটার উপর ই গবেষণাটি নির্ভর করছে। এছাড়াও যারা চাকরি করছেন তারা দেখুন যে আপনার চাকরির ফিল্ডে এর চেয়ে ভালো অবস্থান আছে নাকি? যদি থাকে তাহলে চেষ্টা করুন সেটিকে লক্ষ্য করে এগোতে।
এছাড়াও ক্যারিয়ার প্ল্যানিং এ আরো কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যার সবগুলোই এই তিনটি ধাপের সাথেই জড়িত। যেমন
বর্তমান ও পূর্বের তুলনা করে এগিয়ে যাওয়া
ইচ্ছা তো পূরণ করবেন কিন্ত সেগুলো যেন স্মার্ট ইচ্ছা হয় সেটি লক্ষ্য রাখা
সবসময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখা
নিজের কার্যের নীতির উদ্দেশ্য রাখা
নিজেকে সবসময় প্রশ্ন করা
অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া
ক্যারিয়ার প্ল্যানিং বলতে আমরা শুধুমাত্র চাকরি পেতে হলে কি করতে হবে সেটা নিয়েই আলোচনা করি। কিন্ত এই চাকরি পাওয়ার পরের সময়টিও যে ক্যারিয়ারের অংশ তা ভুলে যাই। তাই সামগ্রিক ক্যারিয়ারের উন্নয়নে নেটওয়ার্কিং করা, জ্ঞান অর্জন করা উক্ত ধাপগুলো ছাড়া সম্ভব নয়। আমাদের একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, শিক্ষাজীবনের পর জীবনের অর্ধেক সময়ই আমরা কর্মস্থলেই কাটাবো। তাই সেটি নিয়ে চিন্তা করার মাধ্যমেই চাকরিজীবী ও সাধারণ মানুষ হিসেবে সমর্থ্য হবো। collected