দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আরোপ করা হয়েছে বিভিন্ন বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধের কারণে সরকারি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিতব্য সব নিয়োগ পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শেষে নির্বাচিতদের সেপ্টেম্বরে যোগদান শুরু করা হবে।
বছরে একবার সরকারি চাকরিজীবীদের ডোপ টেস্ট করা হবে। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সরকারি চাকরিতে শূন্য পদের সংখ্যা তিন লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮। করোনার কারণে গত ৬ মাস ধরে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সব ধরনের নিয়োগ স্থগিত থাকায় এ সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে। এসব পদে নিয়োগ পেতে অপেক্ষায় আছেন ২০ লাখের বেশি শিক্ষিত বেকার। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ডিগ্রি আছে এমন বেকারের সংখ্যা চার লাখ।
এইচএসসি ও এসএসসি পাস বেকারের সংখ্যা ১৬ লাখের বেশি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
বুধবার (২৯ জুন) গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বহুল প্রতীক্ষিত অনলাইনে বদলির (পাইলটিং) কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।