বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী সরকারি চাকরিতে আগ্রহী।
সাইদুর রহমান সম্রাট ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করেছেন। এ পর্যন্ত চারবার বিসিএস পরীক্ষা দিলেও এখনও সফল হতে পারেননি। তবে হাল ছাড়ছেন না। সরকারী চাকরি পাবার বয়স-সীমা অতিক্রম না করা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন মি: সম্রাট।
বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হওয়া তার একটি স্বপ্ন। এর বাইরে আপাতত কিছু ভাবছেন না মি: সম্রাট।
বাংলাদেশের স্কুল-কলেজগুলো থেকে তরুণ-তরুণীরা যে শিক্ষা পাচ্ছে, তাতে তারা কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারছে না, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে আসে।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক, বিআইজিডি এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এ জরিপটি চালায়।
বাংলাদেশে চার লাখের বেশি উচ্চশিক্ষিত তরুণ তরুণী এখন বেকার। কাঙ্খিত কর্মসংস্থান হিসেবে এদের প্রায় সবাই চায় সরকারি চাকুরি। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে সবাই চাকরির বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছে। যেখানে মোটামুটি সবার প্রথম পছন্দ বিসিএস এবং সরকারি চাকরি।
সর্বশেষ ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় মাত্র ২ হাজার ২৪টি পদের বিপরীতে পরীক্ষা দিয়েছে ২ লাখ ৪৩ হাজার চাকরিপ্রার্থী। বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক, প্রায় চার লাখ আবেদন পড়ে ওই বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য।
বাংলাদেশে চাকরিতে কোটা কমানোর দাবিতে ঢাকার শাহবাগসহ দেশের অনেক এলাকায় শিক্ষার্থীদের বড় ধরনের মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে রোববার। তাদের দাবি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস)সহ সকল সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কার করতে হবে।
অন্যদিকে সরকারি চাকরির বয়স-সীমা ৫ বছর বাড়ানোর দাবিতে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাধারণ ছাত্র পরিষদের ব্যানারে অনশন করছেন একদল।
মানুষকে জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে কাজ করতে হয়। কেউ সরকারি চাকরি করে, কেউ বেসরকারি। সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা খুব কম, বেশিরভাগই বেসরকারি। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীর সুযোগ-সুবিধার পার্থক্য আকাশ-পাতাল।
বেসরকারি চাকরিজীবীরা অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলিত ও বঞ্চিত। অন্যদিকে দফায় দফায় বেড়েছে সরকারি চাকরিজীবীদের সুবিধা। কিছু সুবিধার কথা তুলে ধরছি। গত নয় বছরে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বেড়েছে ৩৫০ শতাংশ।